সোমবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৩
22 Aug 2025 01:24 am
![]() |
সোমবার হায়দরাবাদে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ৩২২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৬.৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে থামে ডাচদের ইনিংস। এতে ৯৯ রানের বড় জয় পেয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেদারল্যান্ডসের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন বিক্রমজিৎ সিং ও ম্যাক্স ও’দৌদ। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। এ দুই ব্যাটার মিলে নির্বিঘ্নে ৫ ওভার কাটিয়ে দেন। তবে ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে বিক্রমজিৎ-এর স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন ম্যাট হেনরি। বোল্ড হওয়ার আগে ১২ রান করেন তিনি।
তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন কলিন অকারম্যান। উইকেটে এসে ধীরে সুস্থে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেওয়া ম্যাক্স ও’দৌদকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন সাজঘরের পথ দেখান স্যান্টনার।
এরপর উইকেটে আসেন বাস ডি লিড। ব্যাট হাতে দারুণ শুরুও পান তিনি। কিন্তু রাচিন রবীন্দ্রর বলে বোল্টের তালুবন্দীন হন এ ডাচ অলরাউন্ডার। এরপর চাপ সামলে নিদামানুরুর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন অকারম্যান। এরপরই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন নিদামানুরু।
পরে বাইশ গজে আসেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। তার সঙ্গেও ৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেন অকারম্যান। একই সঙ্গে নিজের অর্ধ শতকও পূর্ণ করেন কলিন। অবশ্য ডাচদের আশা দেখিয়েও আউট হয়ে যান তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৯ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
অকারম্যানের পরপরই স্যান্টনারের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডাচ দলপতি অ্যাডওয়ার্ডস (৩০)। এরপর তাড়াহুড়োই উইকেট বিলিয়ে দেন রোলেফ ফন ডার মারওয়ে (১)। শেষের দিকে ব্যাট হাতে বেশকিছু সময় লড়াই চালিয়ে যান সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। তার বিদায়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডাচ বাহিনী।
এদিন কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকার করেন মিচেল স্যান্টনার। এছাড়াও তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন ম্যাট হেনরি।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড। এ ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে নিউজিল্যান্ড। জিমি নিশামের পরিবর্তে দলে একাদশে সুযোগ পান লকি ফার্গুসন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামে উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। এ দু’জনের ব্যাট থেকে ভালো শুরু পায় কিউইরা। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন আগের ম্যাচে দেড়শ রান করা কনওয়ে। এদিন সাজঘরে ফেরার আগে ৩২ করেন এ ব্যাটার।
কনওয়ের বিদায়ে উইকেটে আসেন রাচিন রবীন্দ্র। তাকে সঙ্গে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়েন ইয়ং। এরপর মিকেরেনের বলে বাসের তালুবন্দী হন ইয়ং। এদিন ৭০ রানের ইনিংসটি সাত বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সাজিয়েছেন তিনি।
ইয়ংয়ের বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে কিউইরা। তবে সেই চাপ মুহূর্তেই সামলে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন রবীন্দ্র। একই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধ শতক তুলে নেন তিনি। তাতে কিউইদের স্কোরকার্ড আবারে সচল হয়।
ফিফটির ইনিংস অবশ্য লম্বা করতে পারেননি রবীন্দ্র। মারওয়ের বলে অ্যাডওয়ার্ডসের তালুবন্দী হন তিনি (৫১)। পরে ক্রিজে আসেন কিউই দলপতি টম লাথাম। উইকেটে এসেই হাতখুলে ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। এরপর ফিফটি তুলে নেন কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
উইকেটে এসেই সাজঘরে ফিরে যান গ্লেন ফিলিপস (৪) ও মার্ক চাপম্যান (৫)। তবে শেষ মুহূর্তে মিচেল স্যান্টনারের ক্যামিও ইনিংসে তিনশো পেরিয়ে যায় কিউইরা। তার অপরাজিত ৩৬ -এ ভর করে ব্ল্যাকক্যাপসদের ইনিংস থামে ৩২২ রানে।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন আরিয়ান দত্ত, মিকেরেন ও মারওয়ে।