শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
24 Nov 2024 11:53 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- হার দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করল বাংলাদেশ। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলংকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ৪২.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
শ্রীলংকার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন দিমুথ করুনারত্নে ও পাথুম নিশাঙ্কা। প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলেন তারা। এরপর তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই স্ট্যাম্প উপরে ফেলেন তাসকিন। বোল্ড হওয়ার আগে ১ রান করেন করুনারত্নে।
এরপর বাইশ গজে আসেন কুশাল মেন্ডিস। এরপরই শরিফুলের পেসে কাটা পড়েন নিশাঙ্কা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে নিশাঙ্কাকে মুশফিকের তালুবন্দী করেন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ রান করেন তিনি।
ম্যাচের দশম ওভারে হাতে বল তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। এ ওভারের দ্বিতীয় বলে মেন্ডিসের স্ট্যাম্প ভাঙেন তিনি।
মেন্ডিস কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের গুড লেংথের আর্ম বলটি স্ট্যাম্পে আঘাত করে। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে ৫ রান করেন মেন্ডিস।
তার বিদায়ে উইকেটে আসেন চারিথ আশালঙ্কা। ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে দলকে চাপমুক্ত করে সাদিরা-আশালঙ্কা জুটি। এ দু’জনের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৮ রান।
দলকে চাপমুক্তর করে ফিফটি তুলে নেন সামিরাবিক্রমা। অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। মাহেদীর ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাকিব ভেলকিতে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটার।
এরপর উইকেটে আসেন লংকান দলপতি দাসুন শানাকা। পরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান আশালঙ্কা। ম্যাচের ৩৯তম ওভারের শেষ বলে তাসকিনকে বাউন্ডারি হাকিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লংকানরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এদিন টাইগারদের জার্সিতে অভিষেক হয় যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার তানজিদ হাসান তামিমের।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মোহাম্মদ নাঈম ও তামিম। তবে নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেননি তামিম। দুই বল মোকাবিলা করে রানা খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে মাহেশ থিকশানার ফুল লেংথের বলটি ডিফেন্স করেন তামিম। তবে বলটি ব্যাটে আসার আগেই তার প্যাডে আঘাত করে। এতে লেগ বিফরের ফাঁদে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার।
তামিমের বিদায়ে ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ২১ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু ম্যাচের ৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে নিশানকার তালুবন্দী হন নাঈম। এতে ১৬ রানেই থামতে হয় তাকে।
এরপর বাইশ গজে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। পাথিরানার বলে বাঁ দিকে ঝাপিয়ে সাকিবকে তালুবন্দী করেন লংকান উইকেটরক্ষক কুশাল মেন্ডিস। আউট হওয়ার আগে এক বাউন্ডারিতে ৫ রান করেন টাইগার অধিনায়ক।
৩৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে লংকান বোলারদের বিপক্ষে লড়াই করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন শান্ত।
ম্যাচের ২৪তম ওভারে দাসুন শানাকাকে বাউন্ডারি হাকিয়ে অর্ধ শতক পূর্ণ করেন শান্ত। একই ওভারের শেষ বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তাওহীদ হৃদয়। লংকানদের জোরালো আবেদনে আউট দেন আম্পায়ার। আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ২০ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। পরে শান্তর সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু পাথিরানার বাউন্সারে আপারকাট খেলতে গিয়ে দিমুথ করুনারত্নের তালুবন্দী হন মুশি। এতে নিজের ১৩ রানে দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
পরে বাইশ গজে আসেন মেহেদী মিরাজ। তবে দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। ম্যাচের ৩৭তম ওভারে শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রান আউট হন মিরাজ (৫)। এরপর যেন আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন টাইগাররা।
বাংলাদেশের হাল ধরতে উইকেটে আসেন শেখ মাহেদী। কিন্তু তিনিও দুই অংকের ঘর টপকাতে পারেননি। তার বিদায়ের পর সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে রওনা হন শান্ত (৮৯)। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট বিলিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
এদিন শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন মাথিশা পাথিরানা।