শুক্রবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৩
23 Nov 2024 03:16 pm
শুক্রবার (৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নিয়মিত আইনি ব্যবস্থায় ভয়ঙ্কর কার্যক্রম দমন কঠিন হয়ে যাওয়ায় পর দেখা গেছে, দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন।’
তবে এই জরুরি অবস্থা পুরো ইথিওপিয়ায় নাকি শুধুমাত্র সংঘাতপূর্ণ আমহারায় কার্যকর হবে সেটি পরিষ্কার করে জানায়নি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
গত সপ্তাহে দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল অঞ্চলটিতে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী ফানো মিলিশিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
মূলত স্থানীয় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফানো মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ইএনডিএফ)।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফানো এমন একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী যার কোনো আনুষ্ঠানিক ‘কমান্ড’ কাঠামো নেই। গোষ্ঠীটি পার্শ্ববর্তী তাইগ্রে অঞ্চলে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধে ইথিওপিয়ার সেনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল। গত বছরের নভেম্বরে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে দুই বছরের ওই গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
তবে সম্প্রতি ফানো মিলিশিয়ার সঙ্গে সরকারি বাহিনী ইএনডিএফের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আমহারার আঞ্চলিক সরকার এই অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অতিরিক্ত সহায়তার আবেদন জানায়।