রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩
24 Nov 2024 11:03 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ‘বিদ্যুতের গতি’তে এগোচ্ছে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করা ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা। এরই মধ্যে অর্ধেক পথ পার হয়ে রাজধানীর কাছাকাছি লিপেতস্ক প্রদেশে পৌঁছে গেছে একটি বহর। লিপেতস্ক শহরের গভর্নরও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে রাজধানী শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তাও।
শুক্রবার (২৩ জুন) অনেকটা আকস্মিকভাবেই রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। একাধিক টেলিগ্রাম বার্তায় ৬২ বছর বয়সী প্রিগোজিন বলেন, তার যোদ্ধারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছে। তবে এটাকে তিনি অভ্যুত্থান বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ওয়াগনার যোদ্ধারা রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে ঢুকে পড়েছে এবং এর বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়েছে। এই এলাকার অধিবাসীদেরকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু তার সঙ্গে আলোচনায় না বসা পর্যন্ত রাজধানী মস্কোর অভিমুখে অভিযান অব্যাহত রাখবে তার যোদ্ধারা।
এদিকে ওয়াগনার বাহিনীর এই বিদ্রোহের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ভাড়াটে বাহিনীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ অভিহিত করে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার (২৪ জুন) জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণ দেন পুতিন। ভাষণে ওয়াগনার বাহিনী ও এর কমান্ডারের তৎপরতাকে ‘পিঠে ছুরি মারা’র শামিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। কারও কারও উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদেরকে গভীর রাষ্ট্রদ্রোহিতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’