মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
24 Nov 2024 05:44 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের কোস্টগার্ড ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে সাবমেরিনটির সন্ধানে অভিযান চলছে। সাবমেরিনটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা এখনো জানা যায়নি।
সমুদ্রের প্রায় ৩৮০০ মিটার বা ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ছোট আকারের সাবমেরিনে করে পর্যটকরা প্রায়ই সেখানে ওই ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপিডিশন পর্যটকদের আটলান্টিকের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে থাকে।
ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য কয়েক দিনের ভ্রমণে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। ৮দিনের ভ্রমণের জন্য একজন যাত্রীর কাছে থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে থাকেন প্রতিষ্ঠানটি।
ওশানগেট এক্সপিডিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের একটি সাবমেরিন সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালে আরও দুটি সাবমেরিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সাবমেরিনটিতে মাত্র পাঁচজন বসতে পারেন। এর মধ্যে তিনজন পর্যটক। বাকি দুজনের একজন সাবমেরিনের চালক ও অন্য আরেকজন কন্টেন্ট এক্সপার্ট। সমুদ্রতলে অবতরণ ও আরোহণে প্রায় আট ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়।
১৯১২ সালে তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী এই জাহাজ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা যান।
১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে টাইটানিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। প্রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটক বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে ভ্রমণে যান। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের অবস্থান রয়েছে।