বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
24 Nov 2024 06:03 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (২৪ মে) দোহার র্যাফলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর অ্যাট লার্জ হাসলিন্ডা আমিন। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অর্থনীতি-রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী তার জবাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে-পরে অন্যান্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও এই ‘কথোপকথন’ হয় এবং আলাদা আলাদা সঞ্চালকরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা বাংলাদেশের সকল নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তখন নির্বাচনটা শুধু একটা খেলা ছিল।
তিনি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন তার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তখন তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন।
তার পর থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের সংগ্রাম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। আমরা আমাদের প্রত্যেকটি মেয়াদে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি।’
বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
তখন কী ফল হয়েছিল? যে দলটি (বিএনপি) এখন প্রশ্ন তুলছে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করতে আসিনি। বরং আমি আমাদের জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘কিছু দল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা কিভাবে অংশ নেবে? তাদের আমলে দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের জনগণ কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। দেশের সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ। তারা কখনো মানুষকে নিয়ে ভাবেনি। আমাদের জনগণের দিনে এক বেলা খাবার পাওয়া ছিল খুব কঠিন। এই ছিল তখন দেশের পরিস্থিতি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণের সব কিছু নিশ্চিত করেছে। তাই এখন নির্বাচন, এটা তো জনগণের অধিকার। আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে আছি, যদি না দেয়, ঠিক আছে।’
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২২ সালে সেটিকে আমরা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’ আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।