মঙ্গলবার, ০৯ মে, ২০২৩
30 Nov 2024 10:26 pm
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুর প্রতিনিধি:- জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ৯ মাস আগে ধর্ষণের শিকার এক বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী স্বামী পরিত্যক্ত নারী সন্তান প্রসব করেছে।
রোববার (৭ মে) বিকাল ৫ টা দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ধর্ষিতা নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন। শিকারের ওই নারী ও নবজাতক জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায় গত (৫ মে) ওই নারীর মা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তবে ধর্ষণ মামলার আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত ধর্ষক মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভালুকা এলাকার মামুন মিয়া (৩৫) তিনি কৃষক কাজ করেন।
স্থানীয় ও ধর্ষিতা নারীর স্বজনরা জানান,'ধর্ষিতা নারী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি স্বামী পরিত্যক্ত হন। ৮-৯ মাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকারের তিন মাস পর ওই নারী ও তাঁর মা বুঝতে পারেন ধর্ষিতা নারীর গর্ভে সন্তান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাটি সমঝোতা হওয়ার জন্য অভিযুক্তের পরিবার থেকে ধর্ষণের শিকার নারীর পরিবারকে বলে। অভিযুক্ত মামুন ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর পরিবারকে জানান এবং এই ঘটনা কাউকে না জানাতে বলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হওয়ার জন্য সালিশি হয়েছিল। পরে বিষয়টি সমঝোতা না হলে ধর্ষিতা নারীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, আমরা গরীব মানুষ, এহন মেয়ে ও বাচ্চা নিয়ে কই যামু, কি করমু চিন্তায় আছি। মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তাঁরা মীমাংসা হয় নাই। কাল হাসপাতালে মেয়ে হয়েছে। কাছে টাকা পয়সা নাই যে মেয়েকে চিকিৎসা করমু। আমার মেয়ে ও তার সন্তানের একটা ব্যবস্থা চাই সরকারের কাছে। আর মামুনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই তার যেন বিচার হয়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ফাকরিয়া আলম বলেন,'রোববার দুপুরে প্রসববেদনা নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন। বিকেলে একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্ম হয়। নবজাতক সুস্থ আছে। তবে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা দুর্বল। তাঁকে রক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন,' থানায় মামলার দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত আসামীর গ্রেপ্তার হবে। হাসপাতালে ওই নারীর সঙ্গে আমাদের নারী-পুলিশ ছিলেন। ওই নারীর কন্যা সন্তান হয়েছে।