শনিবার, ০৬ মে, ২০২৩
30 Nov 2024 10:46 pm
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মসজিদের দানকৃত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে মসজিদের ভিতরে দুপক্ষের মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এসময় ০২ জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে ডোমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ডোমার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের অবস্থিত বজিরপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি রাজ্জাক হোসেন বাবলু।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (০৫ মে) নীলফামারী ডোমারের সদর ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বড় রাউতা বজিরপাড়া জামে মসজিদের নামীয় ওয়াকফকৃত ৬১ শতক সম্পত্তি রয়েছে। উক্ত মসজিদের সাবেক মোতয়াল্লী মরহুম বজির উদ্দিন নিম্ন তফশীল বর্ণিত জমি ভোগ-দখল করাবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর তার ওয়ারিশগন তফশীল বর্ণিত ৬১ শতক জমি জোরপূর্বক ভোগ-দখল করে। মসজিদ কমিটির লোকজন বিভিন্ন সময় তাদেরকে মসজিদের নামীয় নিম্ন তফশীল বর্নিত জমি ছেড়ে দিতে বললে তারা নানান প্রকার টালবাহানা করাসহ উক্ত জমির রেকর্ড নিজেদের নামে করে নেয়। পরবর্তীতে মসজিদ কমিটি উক্ত জমি উদ্ধারসহ রেকর্ড সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে একটি মোকদ্দমা করেন। যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। ২৬/০৪/২০২৩ ইং তারিখ উক্ত মোকদ্দমায় বিবাদীগনকে নিম্ন তফশীল বর্ণিত জমির দলিল প্রত্রাদি প্রদর্শন করতে বললে বিবাদীগন তাহা প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায় সময় প্রার্থনা করে। এমতাবস্থায় ইং-০৫/০৫/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষ হওয়া মাত্র মোনাজাতের পূর্বে মৃত বজির উদ্দিন এর ওয়ারিশ বজিরপাড়া মৃত রমজান আলির তিন পুত্র রশিদুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, ওহিদুল ইসলাম মিঠু এর নেতৃত্বে আরো ১৫ জন পুরুষ-মহিলা দলবদ্ধভাবে মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে মসজিদ কমিটির লোকজনকে এবং মুসল্লিদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
এক পর্যায়ে মসজিদের মুসল্লি বড়রাউতা ছায়াপাড়ার আসিরুদ্দিনের ছেলে মোঃ আজাদ, একই এলাকার মৃত হাসেন আলীর দুই ছেলে হাফিজুল ইসলাম ও হযরত আলী, বজিরপাড়ার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে সাজেদুল ইসলামকে এলোপাথারিভাবে মারধর করে। এরপর আজাদ এবং হাফিজুল চরম আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে মসজিদ কমিটির লোকজন তাদের চিকিৎসার জন্য ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
বজিরপাড়া মসজিদের ঈমাম খাইরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের সালাম ফেরানোর পর পরই বাইরে হট্টগোলের আওয়াজ পাই। নামাজ শেষ করে মসজিদের মসজিদের মুসল্লীসহ মহিলাদের দেখতে পাই।
মসজিদের সভাপতি সহিদুল হক ও সাধারন সম্পাদক মকবুল ইসলাম মধু বলেন, মসজিদ কমিটির লোকদের মসজিদ থেকে টেনে বাইরে নিয়ে মারামারি করার জন্য মৃত বজির উদ্দিনের ছেলে নাতী ও তাদের বাড়ির মহিলা মসজিদের ভিতরে ঢুকে। এরপর মসজিদের লোকজন সবাই মিলে তাদের বের করে দেয়। এরপর তারা বের হয়ে তাদের বাড়ির সিমানায় থাকা বেরা নিজেরাই ভেঙে দেয় এবং আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।
জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি অস্বিকার করে প্রতিপক্ষদের মধ্যে মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, মসজিদের আয় ব্যায়ের হিসেব চাওয়ার কারনে মসজিদ কমিটির সভাপতি পাল্টানোর কথা উঠে। এসময় সভাপতির পক্ষের ও বিপক্ষের লোকজনেরা গণ্ডগোল সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
রাশেদুল ইসলাম আপেল, নীলফামারী।