সোমবার, ০১ মে, ২০২৩
30 Nov 2024 09:37 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ স্নিগ্ধ আখতার পিপিএম এর তত্ত¡াবধানে ডিবি বগুড়া’র ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ, এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টিম ডিবি বগুড়া’র একটি চৌকস টিম ৩০/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ অনুমান ১৬.২০ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার ধুনট থানাধীন জোড়খালি হাফেজখানা নামক স্থান হইতে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটক সাজিয়ে অর্থ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা সহ ০৪(চার) সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ সালমান (২০), পিতা-মোঃ যুবাইর আহম্মেদ
২। মোঃ রাইসুল ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ রাইমেন সরকার
৩। মোঃ আহসান হাবীব (২০), পিতা-মোঃ কাওছার আলী
৪। মোঃ আঃ মমিন (২০), পিতা-মোঃ রুহুল আমীন, সর্ব সাং-জোড়খালি, থানা-ধুনট, জেলা-বগুড়া
উদ্ধারকৃত আলমতের বর্ণনাঃ
১। ০১(এক)টি সিলভার রংয়ের xiaomi, Mi NoteBook Pro; (ল্যাপটপ)
২। ০১ (এক)টি নীল রংয়ের icon বাটন মোবাইল ফোন।
৩। ০১(এক)টি সোনালী রংয়ের SYMPHONY বাটন মোবাইল ফোন।
৪। ০১(এক) টি নীল রংয়ের VIVO স্মার্ট মোবাইল ফোন।
৫। ০১(এক)টি আকাশী রংয়ের VIVO স্মার্ট মোবাইল ফোন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীগণ জানায় যে, তাহারা দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজসে ফেসবুকে “JSC/ssc All Questions out” নামে পেজ খুলে উক্ত পেজে পূর্বের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নের ছবির উপরের কাটা অংশ পোষ্ট করে। এছাড়া যারা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র নিতে ইচ্ছুক তাদের উল্লেখিত পেজে ম্যাসেজ করে যোগাযোগ করতে বলে। পরবর্তীতে আগ্রহীদের Whatsapp-এ যুক্ত করে কথাবার্তা বলে তাদেরকে দুইটি ভিন্ন বিকাশ নম্বর প্রেরণ করে উক্ত নম্বরের বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাতে বলে। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা আরো জানায় যে, তারা পরস্পরে যোগসাজসে জালিয়াতি করে পূর্বের বিভিন্ন সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তা ল্যাপটপের মাধ্যমে এডিট করে বর্তমান সময়ের পরীক্ষার প্রশ্ন বলে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্নজনের নিকট হতে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল।
প্রকাশ থাকে যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার ধুনট থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১ মে ২০২৩, জিআর নং-৭১/২৩, ধারা- ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২(২)/২৩(২) তৎসহ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪০৬ রুজু করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত আছে।