সোমবার, ০১ মে, ২০২৩
25 Nov 2024 05:43 am
আসন্ন এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ পাকিস্তান, সেটি অনেক আগেই নির্ধারণ করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আর সে সময় থেকেই দেশটিতে এশিয়া কাপ খেলতে নারাজ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। আর তাতেই বেঁধেছে বিপত্তি!
ভারতের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে এশিয়ান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভায় ‘হাইব্রিড’ মডেলের প্রস্তাব রেখেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নাজাম শেঠি। এই মডেলে পাকিস্তানের প্রস্তাব ছিল অন্য দেশগুলোকে অবশ্যই আয়োজক দেশে গিয়ে খেলতে হবে, শুধু ভারত ছাড়া। ভারতের ম্যাচগুলো বিকল্প ভেন্যু যেমন শ্রীলংকা, বাংলাদেশ কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে পারে। ভারত ফাইনালে খেললে সেই ম্যাচটাও হবে অন্য দেশে।
নাজাম শেঠির প্রস্তাবে সভায় প্রাথমিকভাবে সম্মতি জানালেও দেশে ফেরার পর পুরো বিষয়টি অস্বীকৃতি জানান এসিসির প্রধান ও বিসিসিআই মহাসচিব জয় শাহ। দুই সপ্তাহ আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজনের কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি, বরং নিরপেক্ষ কোনো দেশে এশিয়া কাপ খেলতেই তাঁরা বেশি আগ্রহী।
এসিসি প্রধানের ওই বক্তব্য আর পাকিস্তানের হাইব্রিড তত্ত্বে অনড় হয়ে বসে থাকা, সবমিলিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ।
অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আর এশিয়া কাপ করা হবে না পাকিস্তানের। আর তাতে বিশ্বকাপের আগে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা তাদেরই। এশিয়া কাপ না হলে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আর কোনো সিরিজ পাচ্ছেন না বাবর আজমরা।
পাকিস্তানকে বেকায়দায় ফেলতে বিকল্প টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাও করে রেখেছে বিসিসিআই। এশিয়া কাপ স্থগিত হলে সেপ্টেম্বরে পাঁচ দেশ নিয়ে আলাদা একটি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় ভারত। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ভারতের মাটিতে যেকোনো টুর্নামেন্ট যেকোনো দেশের জন্য এক লোভনীয় প্রস্তাবই বটে।