রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
03 Aug 2025 04:36 am
![]() |
৭১ভিশন ডেস্ক:- তিন দিনের মধ্যে রাওয়ালপিন্ডিতে একই চিত্রনাট্য। ড্যারিল মিচেল নিউ জিল্যান্ডকে শক্ত অবস্থানে রাখলেন। জবাবে ফখর জামান জ্বলে উঠলেন। প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও মিচেলের সেঞ্চুরি ম্লান করে পাকিস্তানকে জেতালেন ফখর। তার অনবদ্য ইনিংসে ১০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতলো স্বাগতিকরা।
এর চেয়ে বেশি লক্ষ্য তাড়া করেছে পাকিস্তান। গত বছরই লাহোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩৪৮ রান টপকে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তেমনই এক ধ্রুপদী ওয়ানডে ম্যাচ খেলল বাবর আজমের দল। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান তোলা নিউজিল্যান্ডকে পাকিস্তান হারিয়েছে ৭ উইকেটে, ১০ বল হাতে রেখে।
আর এই জয়ে মজাটা হলো, নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার পথে ফখর জামান-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি, এত রান তাড়ায় চাপ বলে কিছু আছে!
লাহোরে সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম। আজ তার কাছাকাছি রান তাড়ায় ফখর জামান যেন দুজনের সেঞ্চুরির দায়িত্বটা প্রায় একাই কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন! ব্যক্তিগত ৫০ ও ৫৫ রানে দুবার ‘জীবন’ পেলেও তাঁর ১৮০ রানের ইনিংসে ম্যাচে বার বার ফেরার চেষ্টা করেও পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৬৫ রান করে বাবর আজম ও ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে ‘পার্শ্বনায়ক’ এর ভূমিকায় ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বৃথা গেছে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ড্যারিল মিচেলের ১২৯ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে এটি ফখরের হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি।
তিনটি জুটিতে দুর্দান্ত এই রান তাড়া করেছে পাকিস্তান। ইমাম ২৪ রানে ম্যাট হেনরিকে উইকেট দেওয়ার আগে ভালো শুরু পাইয়ে দেন। ৫৮ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ফখরের সঙ্গে। এরপর বড় রান তাড়া করে জয়ের ভিত গড়েছেন বাবর ও ফখর। ১২২ বলে ১৩৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৬৬ বলে ৬৫ রান করা বাবর ইশ সোধিকে উইকেট দেন বাজে শট খেলে। পাকিস্তান তখন ২০ ওভারে ১৩৬ রানের দূরত্বে। হাতে ৮ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটিংয়েূর অভ্যাসে সেখান থেকে দলকে জয়ে বন্দরে নোঙর করিয়েছেন রিজওয়ান ও ফখর। ৮৬ বলে ১১৯ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দুর্দান্ত এক জুটি উপহার দেন দুজন।
বাবর আউট হওয়ার পর চারে নামা আব্দুল্লাহ শফিক এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১৪ বলে ৭ রান করে চাপ সইতে না পেরে ক্যাচ দেন। পাকিস্তান এখান থেকেও ছিটকে পড়তে পারত। পাকিস্তান ৯৫ বলে তখনো ১১৯ রানের দূরত্বে। কিন্তু রিজওয়ান-ফখরের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে ইশ সোধি, জিমি নিশাম, ম্যাট হেনরি ও সোধিরা কিছু করতে পারেননি।