রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
09 Apr 2025 04:36 am
![]() |
সংবাদমাধ্যম ডেইলি টাইমস-এর প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানে মৃতদেহ ধর্ষণের ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে এই ধরনের ঘটনা চলছে। ওই বছরেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে মৃতদেহ ধর্ষণের ঘটনা। করাচিতে এক কবরস্থলের নিরাপত্তারক্ষী কবর থেকে মহিলা, কিশোরী, তরুণীদের দেহ তুলে ধর্ষণ করতেন। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মহম্মদ রিজওয়ান নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় তিনি জানিয়েছিলেন যে, কবর থেকে ৪৮ জন মহিলার দেহ তুলে ধর্ষণ করেছেন।
গত বছরের মে মাসে পাকিস্তানের গুজরাতে চক কমলা গ্রামে এক কিশোরীকে কবর থেকে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে যে দিন কিশোরীকে কবর দেওয়া হয়েছিল, সে দিন রাতেই সেই মরদেহ তুলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
২০২১ সালে মৌলভি আশরফ চান্দিয়ো গ্রামে কবর থেকে তুলে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে। সম্প্রতি এই ঘটনার সংখ্যা আরো বেড়েছে। তাই ধর্ষকদের হাত থেকে মেয়েদের বাঁচাতে কবরস্থল খাঁচা দিয়ে ঘিরছেন বাবা-মায়েরা।
সূত্র: এনডিটিভি