শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩
30 Nov 2024 07:31 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধায় ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীসহ ৫ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের পক্ষে এক প্রেস কনফারেন্সের এর মাধ্যমে এ হত্যাকান্ড ও হত্যার সাথে জড়িতদের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন।
এসময় জেলা পুলিশ অন্যান্য কর্মকর্তা, সাঘাটা থানার ওসিসহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার পবনতাইড় গ্রামের অটোভ্যান চালক রুবেল মিয়া (২২) এর মরদেহ গত ২০ মার্চ বেলা ১২ ঘটিকার সময় সাঘাটা উপজেলার বাদিনাপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহর ভুট্টা ক্ষেত হতে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় অজ্ঞাতদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কুলেস হত্যা মামলা হওয়ায় মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে সাঘাটা থানার একটি টিম নিরন্তন প্রচেষ্টা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ৩ জন কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে আরো ২ জনকে গ্রেফতার ও অটোভ্যানের বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ওবায়দুল ইসলাম (২৪) রুবেল মিয়া (২২) মোঃ জসিম উদ্দিন (৩২) পুলিশ তাদের ঢাকা জিরাবো এলাকা হতে গ্রেফতার করে।
তাদের ০২ জনের বাড়ী সাঘাটায় এবং অপর ০১ জন জন বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। গ্রেফতারকৃত ওবাইদুলের নিকট হতে মৃত রুবেল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তিনজনের দেওয়া তথ্য মতে চুরি যাওয়া অটোভ্যানটি ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত মোঃ সাজু মিয়া (৪০) ও মোঃ রেজাউল করিম (৫০) কে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের হেফাজত হতে অটোভ্যানের বিভিন্ন অংশ ১টি টায়ার বিহীন চাকা, ০১টি হ্যান্ডেল, ১টি লুকিং গ্লাস, ১টি যাত্রী বসার সিট ও ১টি এক্সেল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ রাত্রী আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় অটোভ্যানটি সাঘাটা বাজার হইতে ভাড়া করে নিজ বাড়ী বাদিনারপাড়া গ্রামের দিকে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে নির্জন এলাকায় অটোচালক রুবেলকে তার ব্যবহৃত চাদর গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে এবং মৃতদেহ পাশের ভুট্টা ক্ষেত্রের ভিতর ফেলে রেখে অটোভ্যান ও মোবাইল নিয়ে চলে যায় হত্যাকারীরা। পরে হত্যাকারীরা সাঘাটার বারোকোনা বাজারের সাজু মিয়া ও রেজাউল করিমের নিকট অটোভ্যানটি সাড়ে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে এবং ঐ রাতেই হত্যাকারীরা একসাথে ঢাকায় চলে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ওবাইদুল, রবেল ও জসিম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। হত্যাকারীরা মাদকাসক্ত তারা ঢাকায় একই বাসায় ভাড়া থাকত। মূলত টাকার জন্যই অটো চালককে হত্যা করে অটোভ্যানটি নিয়ে যায়।