সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 10:36 pm
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুর প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নৌকার মনোনয়নের জন্যে জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের টাকার কন্টাক্টের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। নৌকার মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার শর্তে এমপি ১৫ কোটি টাকার একটি কন্টাক্ট করেন। এমপির অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পরিবারের একজনের নামও ভাঙাছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই মনোনয়ন পাইয়ে দিবেন। এমপি ও অপরিচিত ব্যক্তির অডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। জামালপুরের বেশিরভাগ মানুষের মেসেঞ্জারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাকার বিনিময়ে মনোনয়নের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ নিয়ে জেলা জুড়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জামালপুর সদর আসনে নৌকার মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে রয়েছে প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে জামালপুর সদর আসনে নির্বাচনী হাওয়াও ব্যইতে শুরু করেছে। যখন প্রার্থীরা জনসমর্থন পেতে ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর সদরের এমপি মোজাফফর হোসেন জনসমর্থন হারিয়ে আবারও নৌকার মনোনয়ন কিনতে ঢাকায় বড় বড় সিন্ডিকেট দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নৌকার মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার শর্তে এমপি মোজাফফর হোসেন ১৫ কোটি টাকার একটি কন্টাক্টের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর মনোনয়ন কিনার অডিও ক্লিপ নিয়ে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় ব্যয়ে যাচ্ছে। এমপির সঙ্গে কথোপকথনে ফারুক নামের অপর ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইতোমধ্যে ওই অডিও ক্লিপটি জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষের মেসেঞ্জারে মেসেঞ্জারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অডিও ক্লিপের কথা হুবুহু তুলে ধরা হলো, শুনো ফারুক আমার সঙ্গে কিন্তু টাকার কোন কথা ছিল না। আমার সঙ্গে কথা হয়ে ছিল, কাজ করে দিয়ে এমাউন্ট নিবে। এমাউন্ট সম্বন্ধে কোন কথা হয়নি। এমাউন্টা কি-সুজা জিনিস, ২০ কোটি টাকা, আমার এই মর্হুতে চৌদ্দ গোষ্ঠী বেইচে দিলেও, এতো টাকা দিতে পারবো না, আমি ১০ কোটি টাকা দিবো, তারপরও আমিতো আরেকটা জায়গায় কন্টাক্ট করতেছি, সে যদি ফেইলুর (ফেল) হই, তাইলে আমি ১৫ কোটি টাকা দিতে পারবো। শুনো এটা আগুন নিয়ে খেলাতো, বুঝো না শেখ রেহানার বিষয়। এমপির সঙ্গে কথোপকথনের অন্যজন তখন বলছিলেন, হে-তার ঘরেই বসতে হবে, এ সময় ওই ব্যক্তি এমপিকে বলছিরেণ, আপনেরটা (এমপি) দিয়ে বের হয়ে যাবেন। এই ব্যাপারে সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনর সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে তার এপিএস সাইফুল ইসলাম বলেন,এটা ৪ বছর আগের একটি রেকর্ড।