সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 10:43 pm
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে শতবর্ষী বট পাকুড়ের একটি গাছ দিন দিন মৃত্যুফাঁদে পরিনত হচ্ছে। শতবর্ষী ওই গাছের বড় একটি ডাল ঘরের উপর ভেঙ্গে পড়ার কারণে চরম আতঙ্কে রয়েছেন বটতলী এলাকার আফজাল হোসেনের পরিবার। শতবর্ষী গাছটিকে নিজের বাপ দাদার সম্পত্তি দাবী করে গাছ কাটতে দিতে নারাজ একই এলাকার মৃত দুখীর রায়ের পরিবারের লোকজন। এদিকে গাছ নিয়ে দন্দের কারনে চলছে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা। দীর্ঘদিনের মামলায় হচ্ছে না কোনো ধরনের সুরাহা।
শতবর্ষী এই গাছটির বড় একটি ডাল ঘরের উপর ভেঙ্গে পড়ার কারণে চরম আতঙ্কে রয়েছেন আফজাল হোসেনের পরিবারের লোকজন এবং যেকোনো সময়ে বড় কোনো অধটন ঘটতে পারে বলে তারা জানান। তারা বলেন, কিছুদিন আগে হঠাৎ করে গাছের ডাল ভেঙ্গে পরে আমরা আহত হয়েছি। বাড়িতে ছোট শিশু সহ আমরা সবাই মারাত্বক মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছি, গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালগুলো কাটা না হলে আমরা যে কোনো মুহুর্তে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি।
এদিকে দুখী রায়ের ছেলে মধু রায় ও কৃঞ্চ রায় বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা সবার মঙ্গল কামনায় বট-পাকুড় গাছকে বর কনে সাজিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। এই বটগাছের নামে আমার দাদা সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেছেন এবং এখানে আমরা প্রতি বছরে পুজা করছি। ৩ শতক জমির মধ্যে ২ শতক আফজাল হোসেনকে দেয়া হয়েছে। এতোদিনে বটগাছে তাদের কোনো ক্ষতি করেনি তাহলে কেনো গাছ কাটতে হবে।
গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ায় পরিবারটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং ইতিপূর্বে কয়েকটি দোকানে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান বোড়াাগড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন। তিনি বলেন, আফজাল হোসেনের পরিবারের লোকজন অনেক ঝুঁকিতে রয়েছে। কোনো কারনে ঘরের উপরে একটা ডাল ভেঙ্গে পড়লে ওই পরিবারের যে কারো মৃত্যু নিশ্চিত। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা, জেলা পরিষদে আবেদন দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে জেলা পরিষদ থেকে গাছ কাটার ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ওই এলাকার মৃত দুখী রায়ের পরিবারের লোকজন নিজের সম্পত্তি বলে দাবী করেন।
গাছটি কোন ব্যক্তিমালিকানাধীন নয় এটি জেলা পরিষদের বলে জানান ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরো বলেন, গাছ যদি কোনো পরিবারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে মানুষকে প্রাণনাশের হাত থেকে রক্ষা করতে এর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
ডোমার থেকে চিলাহাটি অভিমুখী সড়কে অবস্থিত বটতলি বাজার। শতবর্ষী এই বটগাছ থাকার কারনেই ওই স্থানের নামকরন 'বটতলী বাজার' রাখা হয়েছে। প্রবীণ স্থানীরা অনেকেই বলছেন এটি একটি প্রাচীন গাছ।
রাশেদুল ইসলাম আপেল।