শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 06:52 pm
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে বিনামূল্যে ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে উচ্ছাসিত শতাধিক শিশু। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের রুপগঞ্জস্থ মুস্তারী কমপ্লেক্সে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত,অটিজম,এতিমসহ প্রায় ১২০ শিশুর জন্য নতুন পাঞ্জাবী,মেয়েদের জামা,চুড়ি ও কসমেটিকস সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, সিনিয়র সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ,আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজ খান
মিলন,স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর্জা গালিব সতেজ, সাধারন সম্পাদক এস,এম শাহ পরান,উপদেষ্টা ফয়সাল মুস্তারী,সোহাগ ফারাজী, সোহেল রানা,লিজা,নিপা প্রমূখ।
সূত্রে জানা যায়,ঈদের আনন্দ শুধু ধনীদের বা সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানদের মাঝেই যেন সীমাবদ্ধ না থাকে, সেটি যেন সুবিধাবঞ্চিত অসহায়,ছিন্নমূল,অটিজম, এতিম, নিম্ন আয়ের মানুষসহ সমাজের সকল শ্রেণীর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নানা উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশন।প্রতি বছরের মতো এবারও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায়,ছিন্নমূল,অটিজমসহ নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের জন্য বিনামূল্যে ঈদের নতুন জামা-কাপড়,চুড়ি ও কসমেটিকস সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছে স্বেচ্ছাসেবী এ প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি দোকানে সাজানো হয়েছে শতাধিক নতুন জামাসহ ঈদ সামগ্রী। এর মধ্যে শিশুরা দলে দলে বা মা-বাবাকে নিয়ে এসে এখানে উপস্থিত হয়েছে। সকলেই স্টল ঘুরে নিজের পছন্দের জামা বিনামূল্যে নিচ্ছে। নতুন জামাসহ ঈদ সামগ্রী পেয়ে আনন্দিত এসব শিশুর অনেকে সেখানেই সেই নতুন জামা পরিধান করে আনন্দ-উৎসাহ প্রকাশ করছে। প্রতিবন্ধী রমজান (১৩) নতুন পাঞ্জাবী পেয়ে জানায়, আমি খুব আনন্দিত যে ঈদের দিন পরার জন্য নতুন একটা পোশাক পেলাম।একই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করেছে রজিবুল ইসলাম নামে ৭ বছরের এক শিশু।
স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মীর্জা গালিব সতেজ বলেন, শুধু সমাজের সামর্থ্যবানদের সন্তানরা নতুন জামা-কাপড় দিয়ে ঈদ করবে, এমনটা যেন মনে না হয়। ঈদের আনন্দ সবার জন্য, সেটি যেন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে,তাই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায়,ছিন্নমূল,অটিজম,এতিম ছোট ছোট এসব বাচ্চাদের মুখের এই হাসি দেখার জন্যই আমাদের এমন উদ্যোগ বলে তিনি জানান।