মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩
03 Aug 2025 04:53 am
![]() |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির চা ল্যকর বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আমিরুল ইসলাম হত্যা মামলার ২০ দিন পর এজাহারভুক্ত ২নম্বর আসামী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক মন্ডলির সদস্য তৌহিদুল ইসলাম (৪০)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢাকার নারায়নগঞ্জ সদর থেকে তাকে র্যাব-১২ ও র্যাব-১১ এর সহযোগীতায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তৌহিদুল ইসলাম আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপির লক্ষীপুর গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে ও শাহিন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড।
প্রকাশ আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপির লক্ষীপুর গ্রামে পারিবারিক ঘটনা ও টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গত ২২ মার্চ দিবাগত রাতে লক্ষীপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে আমিরুল ইসলাম সরদারকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রাত ১০ টায় ওই গ্রামে শেখ রাসেল ক্লাবে সালিশ বৈঠক বসানো হয়।
সালিশে এক ব্যক্তির পারিবারিক ঘটনা ও তাদের মধ্যে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আমিরুল ইসলামের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সম্পাদক শাহিন হোসেন ও নসরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্পাদক মন্ডলির সদস্য তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মহসিন, সালাম, মামুনসহ তার লোকজন আমিরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দিয়ে এলোপাথ্যারি ভাবে কুপিয়ে জখম করে। এরপর হাসপাতালে নেয়ার হলে কর্তব্যতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বোন আফরোজা বেগম বাদি হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা শাহিন হোসেন. তৌহিদুল ইসলামসহ ৩৭জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আসামীদের গ্রেফতার ও তাদের বিচারের দাবীতে গত ৩০ মার্চ নসরতপুর বাজারে ও পরে বগুড়া সদরে লক্ষীপুর গ্রামবাসির ব্যানারে নিহতের স্ত্রী সন্তান বোনসহ এলাকাবাসি এক মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন।
এদিকে এই হত্যাকান্ডের পর তিনজন গ্রেফতার ও ২৮জনের উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন হয়। এদিকে পালিয়ে থাকা মুল আসামী শাহিন ও তৌহিদুল ইসলামসহ ৬জনের মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামী তৌহিদুল ইসলামকে ২০ দিন পর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত সোমবার দিবাগত রাতে র্যাব-১২ ও র্যাব-১১ এর সহযোগীতায় গ্রেফতার করে পুলিশ। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম গ্রেফতার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন. আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
আবু মুত্তালিব মতি