মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 07:40 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ দশম শ্রেণির ছাত্রী কুকুলি আক্তার (১৫)। প্রায় ২ বছর আগে কসমেটিকস কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আজও ফিরেনি। সে বেঁচে আছে, নাকি তাকে কেউ অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করেছে, নাকি তাকে বিদেশে পাচার করা হয়েছে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে অন্ধকারেই রয়েছে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর পরিবার।
কুকুলি আক্তার গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাউলিযা (মথরপাড়া) গ্রামে রেজাউল করিমের মেয়ে ও স্থানীয় মথরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সম্প্রতি স্বজনরা জানায়, গত ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সকাল অনুমানিক বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কুকুলি আক্তার নিজ প্রয়োজনীয় কসমেটিকস কেনার জন্য পার্শ্ববর্তী বটতলা বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ২৬ নভেম্বর তার মা রাশিদা বেগম সাঘাটা থানায় সাধারণ একটি ডায়েরি করেন।
এ ঘটনাটি সাঘাটা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন ওই স্কুলছাত্রী নিখোঁজের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানার এএসআই রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনও উদ্ধার না করায় অবশেষে কুকুলির বাবা-মা তাদের মেয়েকে উদ্ধারের জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে গেলে ফুলছড়ির এরেন্ডাবাড়ী চর থেকে পুলিশের উদ্ধার করা যুবতীর লাশের ছবি দেখানো হয়। প্রথমে লাশটি তাদের মেয়ের বলে ধারণা করলেও ডিনএনএ পরীক্ষায় কুকুলির লাশ প্রমাণ হয়নি।পবর্তীতে নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্রীর সন্ধানের বিষয়টি এএসআই রাশেদের পরিবর্তে থানার এসআই কামরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতেও নিখোঁজ কুকুলির সন্ধানের অগ্রগতি হয়নি।
কুকুলি আক্তারের বাবা রেজাউল করিমের বলেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন গোপন তথ্যের অনুসন্ধানসহ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছে। অথচ আমার মেয়ের সন্ধান ২ বছরেও মেলেনি। এটি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান সংবাদকর্মীদের বলেন, নিখোঁজ কুকুলি আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করায় মেয়েটি সন্ধানের অগ্রগতি হচ্ছে না। তারপরও অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।