মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
03 Dec 2024 11:11 pm
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদরের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কীটনাশক ব্যবসায়ী রবিউল করিম। জানা গেছে, রবিউল করিম কীটনাশক লাইসেন্স করার জন্য কাগজ পত্র প্রস্তুত করে এসএপিপিও জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে কাগজ পত্র জমা দিতে বলে।
রবিউল করিম সকল নিয়ম মেনে আবেদন করলেও লাইসেন্স না দেওয়ায় আবার যোগাযোগ করলে টাকা দাবী করে পরে বাধ্য হয়ে ৩০০০/- টাকা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ ৪ মাসে লাইসেন্স না পাওয়ায় কৃষি অফিসারের নিকট অভিযোগ দেওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম লাইসেন্স প্রদান করলেও ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
এরপর রবিউল করিম ব্যবসা শুরু করলে প্রতি মাসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ব্যবসা বন্ধ কর দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বাধ্য হয়ে রবিউল করিম ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। এবিষয়ে রবিউল করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অনেক আশা করে কীটনাশক ব্যবসা শুরু করছিলাম কিন্তু এসএপিপিএ জাহাঙ্গীর আলমের কারনে সর্বশান্ত হয়েছি। শুধু আমিই না সদরে অনেক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়েছেন।
আমি উপরোক্ত ঘটনা তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়ার উপপরিচালক মোঃ মাতলুবর রহমান বলেন একটা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ