রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩
28 Nov 2024 10:36 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- রোববার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটরিয়ামে বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়ার সিআইডি পুলিশ সুপার কাওছার সিকদার, কবি প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ বজলুল করিম বাহার, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালী জাতির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনির বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ সদস্যরা। পাকবাহিনি যখন ২৫ মার্চে গণহত্যা চালিয়েছিল সেসময় শতাধিক পুলিশ সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সমগ্র মুক্তিযুদ্ধে ১২শ’র অধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। পাকবাহিনি ক্যান্টনমেন্টগুলো দখল করতে পারলেও তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন দখল করতে পারেনি। পুলিশ সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা অনন্য ছিল বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বিভাগকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছেন।
আমাদের ২৫ মার্চের গণহত্যাকে আজও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। পৃথিবী এমন গণহত্যা আর কোথাও ঘটেনি। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতধরে। আজকে যারা এই প্রতিযোগিতাগুলোতে পুরস্কৃত হয়েছো তারা আগামী এদেশের কর্ণধার হয়ে উঠবে। তোমাদের হাতধরে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে। তোমাদের মানবিক ও আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। যাতে করে তোমরা স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে ধারণ করে সুশিক্ষা গ্রহন করে পরিবারের, সমাজের তথা দেশের সেবায় নিয়োজিত করতে পারো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার, (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় ৬টি বিভাগে ১৯টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বিভাগগুলো হলো, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ রচনা, চিত্রাংকন, গ্রন্থপাঠ, কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা। এবারের প্রতিযোগিতায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৩শত ৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছিল।