শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
24 Nov 2024 06:32 pm
শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে অফিসে ছাদবাগান করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন শরীয়তপুরে কর্মরত প্রথম শ্রেণির ১ কর্মকর্তা। তিনি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। প্রতিদিন শতশত লোক তার এই ছাদবাগান দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। ফুল ও ফলের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শনার্থীরা।
জানাগেছে, শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ছাদে ফল বাগান করে সুনাম কুড়িয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। জেলা শহরের ধানুকায় অবস্থিত জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূল ফটক থেকেই চোখ জুড়াবে সবুজের সমারোহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র আহব্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে পতিত জমি এবং ছাদে সারি সারি বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছের বাগান, বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ ও শাক-সবজির সমারোহে মনোরম পরিবেশ তৈরি করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ৫০ ধরনের ফুল ও ফলের সহস্রাধিক গাছ সংগ্রহ করেছেন তিনি। মাল্টা, সফেদা, কমলা, আঙুর, বাতাবি লেবু, কাগজী, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল, ডালিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ চোখে পড়েছে। প্রকৌশলী আহসান হাবীবের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে আমের মুকুল এসেছে ও আবার কিছুতে আমও ধরেছে। একাধিক গাছে কমলা, পেয়ারা ও মাল্টা ফল ধরেছে। ফলন এসেছে সফেদা গাছেও। সবুজে ছেয়ে গেছে পুরো পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বর। বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকট থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার পাশাপাশি প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী’র আহব্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ছাদ ও ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন ফল, ফুল এবং শাকসবজির গাছ রোপণ করে বাগান তৈরি করেছেন বলে জানান, এই প্রকৌশলী।
এব্যাপারে প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আমাদের কলনিতে প্রায় ৩ একর জমি রয়েছে। আমাদের সব ভবন নতুন। অন্য ডিভিশনের চাইতে এখানে কম জায়গা রয়েছে। আমাদের বিল্ডিংয়ের মাঝে মাঝে যেই জায়গাগুলো রয়েছে তাতে এ বছর ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ করেছি। আমরা এখানে ফলের গাছ লাগিয়েছি এবং প্রতেকটা বিল্ডিংয়ের ছাদে ছাদবাগান করেছি। বাগানে আমি নিজেসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এসব ফুল-ফলের রক্ষণাবেক্ষণে পরিচর্যা করে। আমরা অফিসিয়াল কাজের পাশাপাশি ছাদবাগানে কাজ করি।এতে আনন্দ পাই এবং বাগান থেকে ফুল ও ফলমূল পেয়ে থাকি।