বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
21 Nov 2024 07:12 pm
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এইবারও আলু চাষে ছত্রাক নাশক ব্যবহারে সদর, শাজাহানপুর, কাহালু, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রামসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। যাতে প্রশান্তির হাসি ফুঁটেছে আলুচাষীদের মুখে।
আর আলুর এই বাম্পার ফলনে সঠিক ও মানসম্মত ছত্রাক নাশক ব্যবহারে কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ সঠিক তদারকি ও সহযোগীতা করেছে। সঠিক সময়ে জমির যত্ন নেওয়াই এর নেপথ্যে মনে করছেন কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন পরিদর্শনে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আলুচাষী মোতাহার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শাহজালাল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের ডেল্টাসিল ৭২ ডব্লিউপি এবং শাহজেব ৮০ ডব্লিউপি ব্যবহারে ৪০ বিঘা জমিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বছরই আলুর চাষাবাদে ফলন ভালো হচ্ছে। শাহ জালাল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের এই দুই ছত্রাক নাশক ব্র্যান্ড ব্যবহার করার পর একই পন্থায় আলুচাষে মুনাফার মুখ দেখেছেন শাজাহানপুর উপজেলার আরেক তরুণ আলুচাষী শামিমুজ্জামান রনি।
তিনি জানান, আলুর ভালো ফলনের প্রত্যাশা সব সময়ই থাকে। তবে শেষ সময়ে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রোগবালায় আক্রমণ হয়। তবে এইবছর কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শে তিনিসহ তার আশেপাশের কয়েকজন আলুচাষী ডেল্টাসিল ৭২ ডব্লিউপি এবং শাহ্জেব ৮০ ডবিøউপি ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছে।
মহাস্থান বাজারের সার ও কীটনাশকের পরিবেশক মেসার্স জুনায়েদ ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারি শাহ আলম ও টেঙ্গামাগুর এলাকার ব্যবসায়ী মেসার্স আর আর ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারি শামিমউজ্জামান রনির সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে একাধিক ব্রান্ডের নামিদামি ছত্রাক নাশক রাখা হয়। এবার শুরু থেকেই তাদের প্রতিষ্ঠানে শাহজালাল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের ডেন্টাসিল ও শাহজেব ব্রান্ডের ব্যাপক চাহিদা ছিল। আলুর ফলন ভালো হওয়ায় এই দুই প্রোডাক্ট শুরু থেকেই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে এবং সাধারণ কৃষকেরাও উপকৃত হয়েছেন। তারা জানান, ভাল ছত্রাক নাশক ব্যবহারে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় বগুড়া এবং পাশের জেলা জয়পুরহাটের কালাইয়ের পুনট বাজারে আলু বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতির জন্যে বিশাল এক সূচনা।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট বাজারের সার ও কীটনাশকের পরিবেশক মো. দেলোয়ার জানান, এবারে আলু চাষীদের মধ্যে প্রতিবারের তুলনায় ডেন্টাসিল ও শাহজেব ব্রান্ডের ছত্রাক নাশকের বেশ চাহিদা ছিল।
এদিকে এই বছর আলুর বাম্পার ফলন প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মুশিদুল হক জানান, এই বছর আলু চাষে অত্যন্ত উপর্যুক্ত আবহাওয়া ছিলো। কৃষকেরা শুরু থেকে তাদের জমিতে সঠিক ছত্রাক নাশক ব্যবহার নিশ্চিত করেছিল। বিগত সময়ে প্রচুর কুয়াশা ও আবহাওয়াতে আদ্রতা বেশি থাকায় আলুর নাভিধ্বসা রোগে প্রান্তিক কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল কিন্তু এইবার আলুর এই রোগ খুব একটা দেখা যায়নি তাই আলুচাষে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করেছে।