রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
25 Nov 2024 09:36 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- জনতা ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান কর্তৃক বিনা কারনে অপমান, অপদস্থ লাি ত করার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ী এ.এম বদরুদ্দোজা মন্ডল লিটন।
রবিবার বেলা ১২ টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ঐ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান গোবিন্দগঞ্জ জে.পি পাম্প এর স্বত্তাধিকারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন স্থানে জেনি এন্ড প্রিয়ন্তী ফিলিং ষ্টেশন এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
আমার পাম্পের তেল এ অ লে ভালোমানের বলে প্রতিদিনই ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়ে থাকে। ব্যবসা পরিচালনার জন্য জনতা ব্যাংক লিঃ গোবিন্দগঞ্জ শাখায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব খোলা আছে যেখানে লেনদেন রয়েছে তার। প্রতিদিনই সে হিসাবের বিষয়ে মুঠোফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে ব্যালেন্স জানতে পারেন। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক থেকে কোন এসএমএস না পেয়ে তিনি পরদিন ১৩ মার্চ দুপুরে ব্যাংকে গিয়ে সিনিয়র অফিসার-গোপাল চন্দ্র পালকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
কথোপকথনের ৫/৭ মিনিট পরে তিনি ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ করেই শাখার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান তার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন শুরু করে কটুক্তি করতে থাকে। ব্যাংক ম্যানেজার তাকে উদ্দেশ্য করে বলে ‘উনি কি ব্যাংক ডাকাতি করিতে এসেছে”? তার আচরনে ব্যবসায়ী লিটন হতবাক হয়ে যান।
এক পর্যায়ে তাকে আটক করার জন্য ২ জন সিকিউরিটি গার্ডকে হুকুম দিলে ব্যাংকে সেবা নিতে আসা অসংখ্য মানুষের সামনেই তাকে টানাহেচড়া করে হেনস্থা করতে থাকে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এসময় আমাকে জোর করে ম্যানেজারের চেম্বারে নিয়ে আমাকে আটক করিয়া রাখে। আমার হার্টের সমস্যা রয়েছে, আমার শ্বশুর অক্সিজেন দেওয়া অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে এমন কথা বলার পরও আমাকে অকারণে অপমান, অপদস্থ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট যাবৎ ব্যাংকে ম্যানেজারের চেম্বারে আটক রেখে ব্যাংক থেকে বিভিন্নভাবে লাি ত, অপমান, অপদস্থ করে আমাকে মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে তাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ব্যবসার পরিচালনার জন্য সরকারী ব্যাংকে হিসাব খুলেছি। অথচ বিনা কারনে ব্যাংক কর্মকর্তা আমার সাথে মারমুখি আচরন করে আমাকে লাি ত করেছে, এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ব্যাংকে রক্ষিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এমন ব্যাংক কর্মকর্তার কারনেই সরকারী ব্যাংক ছেড়ে বেসরকারী ব্যাংকের দিকে ঝুকে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। এতে করে সরকারী ব্যাংকে লেনদেন কমে রাজস্ব আদায়ও কম হচ্ছে। তাই জনতা ব্যাংক লিঃ গোবিন্দগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তিনি।