বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
28 Nov 2024 09:58 pm
নাটোর প্রতিনিধি: বাজারে গমের দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় নাটোরের লালপুরে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এবছর পদ্মার চরা লসহ প্রতিটি মাঠেই প্রচলিত জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীর উন্নত জাতের গম চাষ হয়েছে । অনুকুল আবহাওয়া ও নিবির পরিচর্য়া করায় এবার গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এই অ লের কৃষকরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এবার চাষ হয়েছে ৮হাজার ৮শ ৪০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১হাজার ৮শ ৪০ হেক্টর বেশি। আর গত বছর এই উপজেলায় গমের চাষ হয়েছিলো ৭ হাজার ৬শ ৮০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে চাষকৃত জমি থেকে হেক্টর প্রতি ৪ মেক্টিকটন হারে প্রায় ৩৫ হাজার ৩৬০ মেক্টিকটন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এবার উচ্চ ফলনশীল বারি গম ৩০, ৩২ ও ৩৩ জাতের গম ব্যাপক হারে চাষ হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া হওয়ায় এই জাতের গমের ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। আশা করা যাচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বিঘা প্রতি গড় ১৪ মন হারে গমের ফলন হবে। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে উপজেলায় উৎপাদিত গমে এখানকার চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে লালপুর উপজেলার পদ্মার চরা লসহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মাঠেই ব্যাপক হারে গমের চাষ হয়েছে। প্রতিটি জমিতেই গম পাকতে শুরু করেছে। কিছু কিছু জমিতে গম কাটার কাজও শুরু হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা জুড়ে পুরোদমে গম কাটার কাজ শুরু হবে। এসময় কথা হয় গমচাষী রোকনুজ্জামনের সঙ্গে । তিনি বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে উন্নত জাতের বারি ৩৩ গম এর চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। রোগ পোকামাকড়ের আক্রমন তেমন না থাকায় অন্য বছরের চেয়ে এবার গমের ফলন আশানুরূপ ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে গমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন এই কৃষক। একই কথা জানিয়েছেন উপজেলার একাধিক গম চাষীরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, লালপুর উপজেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে গমের চাষ হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষকদের নিবির পরিচর্যায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখানকার কৃষকরা উন্নত ফলনশীল বারি ৩০,৩২ ও ৩৩ জাতের গামের চাষ বেশি করেছে। কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল জাতের গম চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে উন্নত জাতের গমের বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এবছর কৃষকরা লাভবান হবেন এবং আগামীতেও গমের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।
মো. আশিকুর রহমান টুটুল