শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
03 Dec 2024 11:29 pm
মানুষ ভালো স্বপ্ন দেখে যেমন সুখানুভব করে, তেমনি ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে নিদারুণ বিমর্ষও হয়। সুন্দর স্বপ্ন মানুষকে হয়তো আনন্দ দেয়। তবে দুঃস্বপ্ন মানুষকে ভাবনাতুর ও অস্থির করে রাখে। মানুষ ঘুমালে নানা ধরনের স্বপ্ন দেখে। অনেক সময় তাতে অপছন্দের বা ভীতিকর বিষয়ও থাকে। এ ক্ষেত্রে রাসুল (সা.) কিছু আমলের কথা বলেছেন। তা হলো-
>>> শরীরের বাম দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)
>>> শয়তান থেকে আশ্রয় চেয়ে তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া। তাহলে এ স্বপ্ন তার
কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)
>>> যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।
>>> খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারও কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)
>>> স্বপ্ন দেখার পর ঘুম ভেঙে গেলে উঠে দুই রাকাত নামাজ পড়া। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)
হাদিস : জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ স্বপ্নে অপছন্দের কিছু দেখলে সে যেন তিনবার বাম দিকে থুথু ফেলে, তিনবার শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায় এবং যে পাশে শুয়েছিল, তা পরিবর্তন করবে। ’ (মুসলিম, হাদিস: ৬০৪১)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘...যদি তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে না, তাহলে উঠে নামাজ পড়বে এবং মানুষের কাছে তা বর্ণনা করবে না। ’ (মুসলিম, হাদিস: ৬০৪২)
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ স্বপ্নে আমাকে দেখলে সে নিশ্চয়ই আমাকে (স্বপ্নে) দেখেছে। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। ’
তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে সে যেন শয়তানের চক্রান্তের সংবাদ (খারাপ স্বপ্নের কথা) কাউকে না দেয়। ’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৮১৬)