শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
23 Nov 2024 07:40 am
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সময় আদিয়ামানের সাত তলা আইসিয়াস হোটেলে অবস্থান করছিলেন ফামাগুস্তা তুর্কি শিক্ষা কলেজের ভলিবল দলটি।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম মিরর ইউকে জানায়, ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে দুই শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের পরপর চার জন শিক্ষার্থী ধ্বংসস্তুপ থেকে নিজেরাই বের হতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাকীদের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন শিক্ষার্থীদের স্বজনরা। সেখানে থাকা এক শিক্ষার্থীর মা ধসে পড়া হোটেল ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আরেক নারী জানান, তার ভাতিজি ১২ বছরের নেহির তারসঙ্গে তার আদিয়ামানের বাড়িতেই থাকছিলেন। কিন্তু ভূমিকম্পের আগের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে সে হোটেলে গিয়েছিল।
বালিকাদের ভলিবল দলের সবথেকে কনিষ্ঠ সদস্য নেহির। তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বেঁচে যাওয়া একজন শিক্ষক বলেন, যখন ভূমিকম্প শুরু হয় তারা জেগেই ছিলেন। তার মেয়েও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানান তিনি।
সোমবারের ওই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ১৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৭১ হাজারেরও বেশি লোক। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। তাই মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে।
যারা বেঁচে গেছেন তাদেরও এখন প্রচণ্ড ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে খাবার ও পানি ছাড়া মরতে বসার দশা হয়েছে। যা নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া যারা এখনো জীবিত আছেন তাদের উদ্ধারের আশাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়ে আসছে।