বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
31 Dec 2024 03:56 am
আসাদ সবুজ,বরগুনাঃ- বরগুনার আমতলীতে জেলা পরিষদ কর্তৃক দেওয়া নকশা পরিবর্তন করে ও ফুটপাট দখল করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী কেমিস্ট ও ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে। এতে প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আশেপাশের ফার্মাসিস্ট ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা নিতে আসা রোগীদের। এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চেয়েছেন আশেপাশের ফার্মাসিস্ট ও রোগীর স্বজনরা।
আমতলী উপজেলার আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের হাসপাতাল গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলা পরিষদের অর্থায়নে গত ৭-৮ বছর আগে ২২ টি স্টল নির্মান করা হয়। এরপর এসব স্টল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয়রা। তবে এখনকার উত্তর পাশের স্টলের সামনে থাকা ফুটপাত দখল করে অবৈধ ভাবে পাকা দেওয়াল নির্মান করে প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় দি সুরক্ষা ডিসপেনসারি'র মালিক অভিযুক্ত কেমিস্ট ও ফার্মাসিস্ট অরবিন্দু রায় চৌধুরী স্বপন লিটন নামের একজনের কাছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার করার জন্য ভাড়া দেয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা।
এখানকার কয়েকজন ব্যাবসায়ী জানান, ফার্মাসিস্ট অরবিন্দসহ আরো দুই ব্যাক্তি ব্যাক্তি এখানের ৬ টি স্টল নিজেদের নামে বরাদ্দ নেয়। পরে এসব স্টলের নকশা পরিবর্তন করে এবং ফুটপাত দখল করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্মাণের জন্য জনৈক লিটনের নিকট ভাড়া দেয়। করে। একারনে আমাদের বেচা-কেনায় সমস্যা ক্রেতারা আমাদের দোকান দেখে না।
কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানায়, হাসপাতালের পাশেই ফার্মেসি আছে। তবে এখানে যে ফুটপাতটি আছে, সেখানে পাকা দেওয়াল নির্মান করায় আমরা ঝুঁকি নিয়ে হাইওয়ে পাশ দিয়ে ফার্মেসিতে যাই৷ আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক লিটন বলেন, স্টলগুলো তিন বছর পরে ছিলো, পরে পার্শ্ববর্তী ফার্মাসিস্ট অরবিন্দুসহ আরো দুজন স্টলগুলো বরাদ্দ নিয়ে জেলা পরিষদের প্রকৌশলীর অনুমতি নিয়ে এগুলো অরবিন্দু করে দিয়েছে।
অভিযুক্ত অরবিন্দু বলেন, অভিযোগ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার দুইটি স্টল আমি ভাড়া দিয়েছি। ভাড়া নিয়ে ভাড়াটিয়া কি করছে আমি জানি না।
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্থানীয় দোকানদারদের সমস্যা হলে, তারা(দোকানদারগণ) আমার বরাবরে একটা আবেদন করলে, আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।