শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
25 Dec 2024 07:35 am
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ- দিনাজপুরের হিলিতে গভীর নলকুপের জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ২০০ বিঘা জমির ইরি-বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।কৃষকেরা বলছেন,দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ওই সমিতির মাধ্যম গভীর নলকুপের পানি দিয়ে এসব জমি আবাদ করে আসছেন তারা। কিন্তু সস্প্রতি স্থানীয় ইউপি সদস্য বিনুল ইসলাম গভীর নলকুপটি তার জমিতে দাবি করে তালাবদ্ধ করে রাখায় জমিতে সেচ দিতে পারছেন না তারা।
জানা যায়,১৯৮২ সাল থেকে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের কৃষকেরা সমিতির মাধ্যমে বিএডিসির কাছ থেকে গভীর নলকুপ নিয়ে ২০০ বিঘা জমিতে ইরি-বোরোসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছিলেন।গেলো বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য বিনুল ইসলাম গভীর নলকুপটি তার নিজের জমিতে দাবি করে আরও একটি তালা ঝুলিয়ে দেন।এর ফলে বীজতলাসহ চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না ওই গ্রামের কৃষকেরা।এতে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।পানির অভাবে তৈরী করতে পারছেন না ইরি-বোরোর জমি।অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ২০০ বিঘা জমির ইরি-বোরো আবাদ। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যর দাবি গভীর নলকুপটি তার নিজের জমিতে অবস্থিত।তাই নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন গভীর নলকুপটি। সময়মতো কৃষকদের জামিতে পানি দেয়া হচ্ছে।আর উপজেলা প্রশাসন বলছে,বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষই আবেদন করেছেন। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।যাতে ওই এলাকার কৃষকদের আসন্ন ইরি-বোরো আবাদ ব্যাহত না হয়।কিন্তু চলতি ইরি-বোরো আবাদ রক্ষার্থে প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই দাবি ভুক্তভুগি কৃষকদের।
হাকিমপুর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ নুর-এ-আলম বলেন,গভীর নলকুপের মালিকানা নিয়ে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে,বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষই আবেদন করেছেন।প্রথমে তাদের জমি সংক্রান্ত জটিলতা ছিলো সেটি উপজেলা সার্ভেয়ার দিয়ে সেটি সমাধান করা হয়েছে।অবষ্ট্রি যে জটিলতা আছে সেটি স্থানীয় ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটি সমাধানের জন্য।স্থানীয় ভাবে সমাধান যদি না হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসন থেকে চলতি ইরি-বোরো আবাদ রক্ষার্থে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম