বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
27 Nov 2024 04:22 am
এক সময় এলাকায় ডিশ ব্যবসা করতেন। এরপর ইউটিউবের মাধ্যমে আস্তে আস্তে মানুষের মাঝে পরিচিতি লাভ করেন। ২০১৮ সালে অংশ নিয়েছিলেন সংসদ নির্বাচনেও। আর এই মুহূর্তে তিনি দুই-দুটি আসন থেকে উপনির্বাচন করছেন।
নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ ও সদর উপজেলা তথা বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন হিরো আলম।
অর্থাৎ বগুড়া তো বটেই, সারাদেশে এর আগে কেউ দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেননি। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মতো বড় দলের প্রার্থীরা এর আগে একাধিক আসনে প্রতিদন্দ্বিতা করেছেন; কিন্তু স্বতন্ত্র হিসেবে একই ব্যক্তির দুই আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
প্রসঙ্গত, চলমান একাদশ সংসদ থেকে গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপি দলীয় এমপিরা। এতে বগুড়ার উল্লিখিত দুটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে। শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নেমে পড়েন হিরো আলম। প্রথমে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেন; কিন্তু আওয়ামী লীগ মনোনয়ন না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তিনি।
কিন্তু বাদসাধে বগুড়া রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। হিরো আলম নিবাচন অফিস ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী দুই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে তা বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। জেলা নির্বাচন অফিসের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অবশেষে উচ্চ আদালতে আপিল করে দুই আসনেই মনোনয়ন ফিরে পান হিরো আলম। এরপর শুরু করেন নির্বাচনী প্রচার।
সরকারদলীয় প্রার্থীসহ বগুড়া-৬ আসনে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী ১০ জন। অপরদিকে, বগুড়া-৪ আসনে মহাজোটের জাসদ প্রার্থীসহ রয়েছেন ৮ জন। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বগুড়া-৪ আসনে নির্বাচন করে হেরে যান হিরো আলম।