সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
28 Dec 2024 02:31 am
পুলিশের গুলিতে আহত ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাস মারা গেছেন। ভুবনেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। সেখানেই মৃত্যু হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
রোববার দুপুরে ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া জেলার ব্রজরাজনগরে গান্ধী চকের কাছে এক পুলিশ কর্তার ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাস। অভিযোগ, তাকে লক্ষ্যে করে গুলি ছোড়েন ওড়িশার এক অ্য়াসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। পর পর দু’বার গুলি করা হয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোরের বুকে। তবে গুলি লাগার পরেই মন্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করানো হয় নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঝাড়সুগুড়া বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় নবকিশোরকে। সেখান থেকে বিমানে করে ভুবনেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মন্ত্রীকে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি তাকে আইসিইউ পরিষেবাও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও চেষ্টাই শেষপর্যন্ত কাজে লাগেনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুকে গুলি লাগায় মন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে আঘাত লাগে। তবে কৃত্রিম ভাবে সেটি সচল রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের দল। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। বিকেলের দিকে দ্রুত তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় মন্ত্রীর।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, যখন মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামেন, তখন তাকে স্বাগত জানানোর জন্য লোকজন জড়ো হন। ভিড়ের মধ্যে থেকেই গুলির শব্দ শোনা যায়। তার পরেই এক পুলিশ কর্মীকে ছুটে পালাতে দেখি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গুলি করার সময় পুলিশের পোষাকেই ছিলেন গোপাল। তিনি কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, এখনও জানা যায়নি। রোববার ব্রজরাজনগরের এই কর্মসূচিতে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন ছিল। তাতে নজর রাখার জন্যই গোপালকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।