শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
23 Dec 2024 07:57 am
টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতেই আবার একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। না দেখেই শুরুতে একবার ‘পাঠান’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তার দাবি ছিল, ছবিটি নিয়ে অহেতুক মাতামাতি হচ্ছে। বক্স অফিসে কত আয় হল তা দিয়ে ছবির গুণাগুণ বিচার হচ্ছে। যদিও ছবিটি দেখার পর অন্য সুর গাইলেন কঙ্গনা। তার মতে, গত দশ বছরে এটিই শাহরুখের সেরা ছবি।
যারা বলছেন, “পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠে ভালবাসার জয়”— শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। তারপর যখন দেখা গেল, এত বিতর্কের মধ্যেও বয়কটের আহ্বান পিছনে ফেলে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ঢল নামিয়েছে ছবিটি, সেই ইতিবাচক দিকে আলোকপাত করে কঙ্গনা বললেন, “দেশবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করে ভালবাসা পেয়েছে পাঠান।”
কঙ্গনার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এক ব্যক্তি মনে করিয়ে দিতে চান, “কঙ্গনা অভিনীত শেষ ছবি ‘ধাকড়’ প্রথম দিনে মাত্র ৫৫ লাখ রুপি আয় করেছে এবং ছবির মূল সংগ্রহ ২.৫৮ কোটি রুপি। যদিও পাঠান প্রথম দিনেই আয় করেছে ১০০ কোটি রুপির বেশি। এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছুই নয়।”
এই মন্তব্যের জবাবে কঙ্গনা বলেন, “হ্যাঁ, ধাকড় ঐতিহাসিক ব্যর্থতার নজির, আমি কখনও সেটা অস্বীকার করেছি? বরং ‘পাঠান’ গত দশ বছরে শাহরুখের প্রথম সফল ছবি, আমরাও তার থেকে অনুপ্রেরণা পেলাম। আমি আশা করি আমরাও একই রকম সুযোগ পাব যা দেশ তাকে দিয়েছে। এত কিছুর পরেও ভারত মহান, উদার, জয় শ্রী রাম।”
কঙ্গনা এরপর প্রশ্ন তোলেন, কার ঘৃণা আর কার ভালবাসা? যারা দাবি করছেন ‘পাঠান’ ঘৃণাকে হারিয়ে দিয়ে ভালবাসা পেয়েছে, তাদের উদ্দেশেই প্রশ্নটি রাখেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক। তার কথায়, “খেয়াল করুন ভারতীয়রা টিকিট কেটে দেখছেন। ভারতবাসীর ভালবাসা। যাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই হিন্দু। তরাই ‘পাঠান’ দেখছেন। এর অর্থ, দেশ এখনও ধর্মসহিষ্ণুই আছে। জয় যার হয়েছে সে হল ভারতবাসীর ভালবাসার।”
কঙ্গনা আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় মুসলিমরা দেশপ্রেমী। আফগানিস্তানের পাঠানদের মতো নন। তাই ভারত কখনও আফগানিস্তান হবে না। পাঠান-এর যে চরিত্র এই সিনেমায় রয়েছে, সে-ও ভারতীয় মুসলিম। চিত্রনাট্য তা-ই বলছে।”
সবশেষে কঙ্গনা আরও একবার স্বীকার করে নেন যে, ‘পাঠান’ অত্যন্ত ভালভাবে চলছে। হিন্দি ছবির মন্দার দিনে এমন কাজ আরও হওয়া দরকার।