বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩
27 Nov 2024 12:23 am
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুর প্রতিনিধঃ- জামালপুরের মেলান্দহে ৭নং চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে দরজা বন্ধ করে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠেছে।ঘুষ ছাড়া কাজ না করায় ভুক্তভোগী সাধারণ কৃষকরা ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় মহিরামকুল মোড়ে মানববন্ধ করেছেন। মানববন্ধনকারিদের অভিযোগ, ভূমি কর্মকর্তা সাধারণ কৃষকদের কৌশলে আটকিয়ে ঘুষ আদায় করেন। জমি সংক্রান্ত কাজের জন্য প্রতিদিন সেবা নিতে আসা লোকদের বাইরে দাড় করিয়ে রাখা হয়। ওদিকে দালালের মাধ্যমে সেবা গ্রহিতাদের ঘরের ভিতরে ডেকে নিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে ঘুষ বানিজ্য করেন। নির্জন গ্রামে অবস্থিত ভূমি অফিসটি হওয়ায় এই কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের কার্যালয়টি যেন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে । এলাকাবাসী সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক শাস্তির দাবি করেছেন।
ভূক্তভোগি মহিরামকুল গ্রামের মুক্তা বেগম (৪৫) জানান-৫ শতাংশ জমির খারিজ করতে আমার কাছ থেকে ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম ৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। রান্ধুনীগাছা গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩০)’র অভিযোগ মাত্র ৩ শতাংশ জমি খারিজের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় খারিজও হয়নি। একই গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলী (৬৮) জানান-এই ভূমি কর্মকর্তা টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়মসহ নানা অব্যবস্থাপনার আখড়ায় পরিণত করেছেন ভূমি অফিসটিকে। এ বিষয়ে আগের এসিল্যান্ডের সাথেও কথা বলেছি। ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।
ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা অসচেতন আসমত আলী (৬৫) জানান-১ শ’ ৪৪ টাকা দাখিলা (ভূমি উন্নয় কর) রশিদ নিতে আমার কাছ থেকে ১ হাজার ৩শ’ টাকা নিয়েছেন। লোকজনকে দেখানোর পর বিষয়টি জানতে পারি। পরে দাখিলা রশিদ নিয়ে ভূমি কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে আসলে পাত্তা দিচ্ছে না। উনি দরজা বন্ধ করে ভিতরে ঘুষ লেনদেন করছেন।
সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে ভোরের কাগজের সাংবাদিক সাকিব আল হাসান নাহিদ, আজকের পত্রিকার সাংবাদিক রকিব হাসান নয়নসহ কয়েক সাংবাদিককে লাঞ্চিত করেছেন। সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা-ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম মিঞা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া হবে।