শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩
20 Dec 2024 11:09 pm
অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনের ফলে মুখের ত্বক থেকে তেল এবং ব্রণ বের হয়। ত্বক তেলতেলে থাকে মানে এই নয় যে ত্বক ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজড রয়েছে। ত্বকে অতিরিক্ত তেলের কারণে জল উৎপাদন কম হয়। অতিরিক্ত তেলের কারণে ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস হতে থাকে। যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ নয়।
ময়েশ্চারাইজার ত্বকের বাইরের স্তরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে। ময়েশ্চারাইজারের উপাদানগুলো ত্বককে আর্দ্র রাখে। মুখের তৈলাক্ত ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অয়েল ফ্রি প্রসাধন ব্যবহার করুন। তা বলে ত্বককে হাইড্রেট রাখতে ভুলবেন না। মুখে নিয়মিত অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। তৈলাক্ত ত্বক হলে, সোডিয়াম লরেথ সালফেট এবং সোডিয়াম লরিল সালফেটের মতো ক্ষারীয় সার্ফ্যাক্ট্যান্টযুক্ত পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এই রাসায়নিক ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। অ্যাসিডের যে স্তর ত্বককে ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে তা এই শুষ্কতার ফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দূষণে ত্বকের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়।
ঘন ক্রিম এবং লোশন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে। ঘন গাঢ় ক্রিম বা লোশন ত্বকের উপরে বসে যায়। এর ফলে ত্বক আরো তৈলাক্ত হয়ে পড়ে ও কোষের ছিদ্র বন্ধ করে দেয়।
মনে রাখবেন-
>> তৈলাক্ত ত্বকে নন-কমেডোজেনিস ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করে না। ফলে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস্-এর ঝুঁকি কমে।
>> হালকা, তেল-মুক্ত এবং দ্রুত শোষক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
>>অতিরিক্ত এসেনশিয়াল অয়েলযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।