৭১ভিশন ডেস্ক:- সরকার বিএনপিকে ফাঁদে ফেলতে চায়, সে কারণে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে বিএনপির মহাসচিবের নিয়মিত ব্রিফিংয়ের জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তার অভিযোগ, বিএনপিকে ফাঁদে ফেলতে এবং দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে উসকানি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

বিএনপির কর্মসূচির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করার তীব্র সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, একই দিন কর্মসূচি নিয়ে কোনো পরিস্থিতির তৈরি হলে এর দায় আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। বিএনপির কর্মসূচির দিনে আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সম্প্রতি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকার সফর নিয়ে তিনি বলেন, হতাশ হয়ে লু’র সফর নিয়ে মিথ্যাচার করছে ক্ষমতাসীন দল।

তিনি আরও বলেন, ‘র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার করেছে সরকার, যা মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে প্রমাণিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা আনন্দিত নই, এটা আমাদের জন্য লজ্জার। নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত সরকারের বিরুদ্ধে। কারণ, জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

সরকারের নির্দেশে সব অপকর্ম–এ কারণে সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত বলেও মনে করেন ফখরুল।

ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করেছিলেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) তার সঙ্গে কোনো বৈঠকের চেষ্টা করি নাই।’

বিরোধী দলকে দমন করতে ইসরাইল থেকে নজরদারির প্রযুক্তি কেনা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগের ওপর নজরদারি করার জন্য ইসরাইলি এক কোম্পানির কাছ থেকে প্রযুক্তি কেনা হয়েছে বলে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের। একই সঙ্গে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টেলিফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে আইন প্রণয়নের ঘোষণা গভীর উদ্বেগের।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত সরকার তাদের অবৈধ উপায়ে দখল করা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ক্রয় ও আড়ি পাতার আইন প্রণয়ন করতে চলেছে। এ ভয়াবহ নিবর্তনমূলক আইন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অগণতান্ত্রিক আচরণ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। অবিলম্বে এসব প্রযুক্তি ক্রয় করা ও আইন প্রণয়নের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘গত চার বছরে ১ হাজার ২০৯টি মামলা হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে এ আইনের আওতায় বন্দিদের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’