মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 06:17 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- মিয়ানমার ব্যাপকহারে অস্ত্র উৎপাদন করছে। আর এসব অস্ত্র তারা ব্যবহার করছে সাধারণ জনগণের ওপর।
জাতিসংঘ কর্মকর্তা একথা উল্লেখ করে বলেন, এসব অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে বিশ্বের ১৩টি দেশের সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও তারা এ সহায়তা করে যাচ্ছে।
বিবিসির নিউজে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত এসব অস্ত্র দেশটিতে যারা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর যেসব নৃগোষ্ঠী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গেছে তাদের বিরুদ্ধেও এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
জাতিসংঘের স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল অন মিয়ানমার সোমবার ‘ফেটাল বিজনেস : সাপ্লাইং দ্য মিয়ানমার মিলিটারিস ওয়েপন প্রোডাকশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, অস্ট্রিয়া, তাইওয়ান এবং চীনসহ মোট ১৩টি দেশের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারকে একঘরে করা ছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিশ্বের ১৩টি দেশের সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় নিয়মিতই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উৎপাদন করে যাচ্ছে দেশটি। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে স্নাইপার রাইফেল, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান, মিসাইল লঞ্চার, গ্রেনেড, বোমা এবং বিভিন্ন ধরনের ল্যান্ড মাইন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমানভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-‘মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী এখন দেশেই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উৎপাদনে সক্ষম, যা দেশটির সাধারণ জনগণের ওপরই ব্যবহার করা হয়।’ এসব অস্ত্র কখনোই দেশটির সীমান্ত রক্ষায় ব্যবহৃত হয়নি।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াং হে লি বলেছেন, ‘মিয়ানমার কখনোই বৈদেশিক শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হয়নি এবং তারা অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশও নয়। তারপরও ১৯৫০ সাল থেকে দেশটি নিজস্ব উৎস থেকে অস্ত্র উৎপাদন করে যাচ্ছে এবং নিজেদের জনগণের ওপরই ব্যবহার করছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দশকের পর দশক মিয়ানমার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় থাকলেও দেশটি কখনই অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ রাখেনি; বরং ক্রমেই বাড়িয়েছে। ১৯৮৮ সালে দেশটিতে মাত্র ৬টি সমরাস্ত্র কারখানা ছিল। আর এখন ৩০ বছরের ব্যবধানে ২০২২ সাল শেষে দেশটিতে এরকম অন্তত ২৫টি কারখানা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তৈরি করা হয়।