রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
19 Dec 2024 02:23 am
আসাদ সবুজ, বরগুনাঃ বরগুনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই সন্তানের জননীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার স্বামী।
শনিবার (১৪ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনা সদর উপজেলার ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের পূর্ব ধূপতি এলাকায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাড়ির সামনেই এঘটনা ঘটে।
মারধর ও শ্লীলতাহানি চেষ্টার স্বীকার হওয়া গৃহবধূ রেশমা বলেন, একই বাড়ির বারেক শিকদারের ছেলে বাদল শিকদার ও আমার স্বামী একই বংশের ও প্রতিবেশী। পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে বাদল শিকদারের সাথে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত বাদল শিকদার, বাদল শিকদারের মেয়ে রিয়া মনি, ছেলে জিহাদ শিকদার ও স্ত্রী সিমা বেগম আমাকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত জিহাদ শিকদার আমার বুকের বামপাশে স্পর্শ কাতর স্থানসহ ঘাড়ে, হাতের কজ্বির উপরিভাগে কামড় দিয়ে জখম করে। এসময় অভিযুক্ত বাদল শিকদার আমার পরিহিত কাপড় চোপড় টানাটানি করে আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমার কোলে থাকা শিশু সন্তানকেও পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। এসময় আমি জোরে ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির হাত থেকে রক্ষা করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মাইনদ্দিন শিকদার বলেন, আমি কাজের তাগিদে মাঠে ছিলাম। বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার চেষ্টার বিষয় জানতে পারি। পরে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করাই। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রেশমার ঘরের সামনেই এ মারামারির ঘটনা ঘটে। আমি গিয়ে মারামারি বন্ধ করি। আমি সময়মত না গেলে হয়তো এখানে হত্যার মত ঘটনা ঘটতে পারতো।
অভিযুক্ত বাদল শিকদারের বাড়িতে গেলে বাদল শিকদারকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে অপর অভিযুক্ত রিয়ামনি ও সিমা বেগম মারামারির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমাকে নিয়ে মানুষের কাছে বাজে মন্তব্য করায় দুজনের মধ্যেই মারামারি হয়েছে। আমাকে মেরে আমার পড়নের জামা ছিড়ে ফেলেছে রেশমা।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি বা আমাকে কেহ অবহিত করেনি। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।