শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩
22 Nov 2024 05:13 pm
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৭৭ রান সংগ্রহ করেছিল বরিশাল। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। বরিশালের জয় ১২ রানে।
কুমিল্লার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন দাস। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৪২ রান। অল্প সময়ের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরার আগে যথাক্রমে ১৮ ও ৩২ রান করেন তারা।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। যেখানে ইমরুল কায়েস ২৮, চ্যাডউইক ওয়ালটন ১৪ ও জাকের আলী ০ রানে আউট হন। জাকেরকে দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত ছিল বাজের চেয়েও বাজে, যদিও অসহায়ের মতো মাঠ ছেড়ে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না তার।
ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জয়ের আশা দেখান খুশদিল শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২৭ রানে সৈকত ফিরলে ম্যাচ ফের বরিশালের দিকে হেলে পড়ে। খুশদিল শাহ অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেও মাঠ ছাড়েন দলের হার নিয়ে।
বরিশালের হয়ে সাকিব, চতুরঙ্গ ডি সিলভা, কামরুল ইসলাম রাব্বী, ইফতিখার আহমেদ ও করিম জানাত প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। আগের ম্যাচে দারুণ শুরু এনে দিলেও আজ ৬ রানেই আউট হন মেকশিফট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
১২ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। অন্যপ্রান্তে ধীরগতির ইনিংস খেলেন আনামুল হক বিজয়। ২০ বলে ২০ রান করেন তিনি। এরপর ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সাকিব। দুজনে গড়েন ৫০ রানের জুটি।
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ২৭ করে আউট হয়েছেন ইব্রাহিম। পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদ ৫ রান করলেও গোল্ডেন ডাক মারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন করিম জানাত।
অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন সাকিব। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। তার ৪৫ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার মার।
কুমিল্লার বোলারদের মাঝে একাই চার উইকেট নেন তানভীর ইসলাম। এছাড়া নায়েম হাসান ও খুশদিল শাহ একটি করে উইকেট শিকার করেন।