শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩
14 Nov 2024 06:45 pm
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে শুরুতে খুলনাকে ১৩০ রানে গুটিয়ে দেয় রংপুর। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চাপে পড়লেও শেষ দিকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। অন্যদিকে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারল ইয়াসির আলীর খুলনা।
অল্প রান তাড়া করতে নেমে মাত্র এক রানে রনি তালুকদারের উইকেট হারায় রংপুর। ৭ বল খেলে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা মেহেদী হাসান ১৪ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হন। একই ওভারে রিয়াজ তুলে নেন স্বদেশী সাইম আয়ুবের উইকেট। শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে নাঈম শেখ অনেকক্ষণ দলকে টানেন। ২২ বলে ২১ রানের মাথায় নাসুম আহমেদের বলে সীমানাদড়ির কাছে ধরা পড়েন তিনি। ধীরগতিতে খেললেও শোয়েব তখনও হাল ধরে রেখেছিলেন।
শোয়েবকে বলার মতো সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক সোহান। টেস্ট ঢংয়ে ১৮ বলে ১০ রান করে নাসুমের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তখনও জয়ের জন্য ৪১ রান দরকার ছিল রংপুরের। সেই কাজটি পুরোপুরি শেষ করে আসতে না পারলেও রংপুরকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান শোয়েব। দলীয় ১২৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। শেষ দিকে শামিম হোসেন ও আজমতউল্লাহ মিলে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন। শামিম ১০ বলে ১৬ ও আজমতউল্লাহ ৪ বলে ৮ রান করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রংপুর রাইডার্সের বোলারদের তোপে পড়ে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটাররা। মাত্র ১৮ রান তুলতেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বসে তারা। ৪ বলে মাত্র ১ রান করে অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল ক্যাচ তুলে দেন বোলার আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের হাতে। শারজিল খান হাত খুল খেলার চেষ্টা করলেও ওমরজাইয়ের সুইয়ে কাবু হয়ে তাকে সাজঘরে ফিরতে হয়। বোল্ড হওয়ার আগে এক চার ও এক ছক্কায় তিনি ১২ রান করেন।
দেখেশুনে উইকেট ধরে রাখার চেষ্টায় থাকা ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানকে বোল্ড করেন রাকিবুল হাসান। ১১ বলে তিনি মাত্র ৪ রান করেন। চাপে পড়া দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলীকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন আজম খান। তাদের ৫৮ রানের জুটি এসে ভাঙেন রবিউল হক। রবিউল তার একই ওভারে ইয়াসিরের পাশাপাশি তুলে নেন সাব্বির রহমানের উইকেটও। ২২ বলে ২ ছক্কার মারে ২৫ রান করেন ইয়াসির। সাব্বির আউট হন ২ বলে ১ রান করে।
তাদের বিদায়ের পর সাজঘরের পথ ধরেন আজম খানও। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আউট হন ২৩ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রান করে। ৮০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই একপ্রকার ছিটকে পড়ে খুলনা। সপ্তম উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন টাইগার অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অষ্টম উইকেটে তাকে সঙ্গ দিয়ে ৯ বলে এক ছক্কায় ১৫ রান করেন নাহিদুল ইসলাম। তাকে ১৮তম ওভারে এসে ইয়র্কার বলে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। দলীয় ১২৫ রানে বিদায় নেন সাইফুদ্দিনও। ১৮ বলে ২ চারের মারে তিনি করেন ২২ রান।