শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩
22 Nov 2024 06:30 am
অর্থনৈতিক সংকটে ধুকটে থাকা পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪.৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২০১৪ সালের পর থেকে এটির সর্বনিম্ন। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান (এসবিপি)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ৫.৮ বিলিয়ন ডলার আমানত রয়েছে। এই নিয়ে দেশটির মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০.১ বিলিয়ন ডলারে দাড়িয়েছে।
পাকিস্তান অচলাবস্থার অবসানের আশা করছে কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ১.১ বিলিয়ন ঋণ মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০১৯ সালের ৭ বিলিয়ন ঋণ কর্মসূচির অংশ।
গত বছরের আগস্টে, আইএমএফ ১.১৭ বিলিয়ন ডলারের একটি কিস্তি প্রদান করেছে। কিন্তু তহবিলের পরবর্তী রাউন্ডটি অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে কারণ পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ঋণদাতার বিভিন্ন শর্ত যেমন জ্বালানির দাম বাড়ানো এবং করের ভিত্তি সম্প্রসারণে সম্মত হয়নি ৷
উল্লেখ্য, পাকিস্তান গত বছর একটি বিপর্যয়কর বন্যার শিকার হয়েছিল যার ফলে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল এবং ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরকারি হিসেবে বন্যায় দেশটির ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছিল।
সংকট কাটাতে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সহায়তায় জেনেভায় একটি আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলনের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান, যেখানে বিশ্ব সম্প্রদায় আগামী তিন বছরে ১০ বিলিয়নেরও বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের গেছেন। যেখানে উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ১ বিলিয়ন অতিরিক্ত ঋণ প্রদানের সাথে সাথে বিদ্যমান ঋণের ২ বিলিয়ন মওকুফ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে এই সংকট সমাধানে সরকারকে আরও টেকসই সংস্কারের স্বল্পমেয়াদী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য একটি রুপরেখা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক অর্থনীতিবিদ সাকিব শেরানি বলেছেন, আগামী দুই বছরের জন্য পাকিস্তানের বার্ষিক ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
শেরানি বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের বার্ষিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৭ বিলিয়নের কাছাকাছি। তবে চলতি বছর এবং আগামী বছর এটি ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশিতে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই তার ঋণ পরিশোধের পুনর্গঠন করতে হবে এবং সরকারের উচিত তার অর্থনৈতিক কৌশলের জন্য একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ তৈরি করা।