জুবায়ের আহমেদ,বাহুবল(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে আলোচিত ১১ বছর বয়সী ব্র্যাক স্কুলের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার আসামী আতর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ লাখাই রোডে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জুয়েল সরকার একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের স্বর্ণরেখ গ্রামের ওই শিশু শিক্ষার্থী গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে আরবী পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একই গ্রামের মৃত ছৈব উল্লাহর পুত্র আতর আলী মেয়েটিকে টেনে-হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী একটি ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এসময় ওই স্কুল ছাত্রীর শোর-চিৎকার শুনে আশপাশ ও পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে ধর্ষক  আতর আলী পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানির পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সালিশের নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার  চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি)বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

নির্যাতিতার পিতা অভিযোগ করে জানান, তিনি নিরীহ প্রকৃতির ও দিনমজুর মানুষ হওয়ায়। এলাকার কিছু ব্যক্তি সালিশের নাম করে এতদিন তাকে মামলা না করতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। অবশেষে তিনি নিরুপায় হয়ে শিশু মেয়ের সুবিচারের আশায় বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ভিকটিমের পিতা মাথা ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, আতর আলী এলাকায় নানান অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে রয়েছে একাধিক চুরি, ছিনতাই ও মাদকের মামলা। ইতোপূর্বে সে একাধিকবার কারাভোগও করেছে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তির কারণে সে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আতর আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বর্ণরেখ ও আশপাশ গ্রামের নারী পুরুষ। আতর আলীর বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে সেও তার পরিবারের উপর নেমে আসে অন্ধকার, বউ বাচ্চা নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায়  ভুগতে হয় তাদেরকে। 

এদিকে আতর আলীর গ্রেফতারের বিষয়টি জানাজানি হলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান সচেতন মহল।

আতর আলীর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিত কুমার দাস।