বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৩
26 Nov 2024 06:28 am
শ্যামল সরকারঃ [১১.০১.২৩] বগুড়ার গাবতলীতে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর সদস্য ওয়ালি উল্লাহ অলি (৪৫) নামের এক জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ১১ই জানুয়ারী বুধবার ভোর সকালে উপজেলার গোলাবাড়ী বন্দর এলাকায় ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী ও ওসি সনাতন চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য ওয়ালি উল্লাহ অলি (৪৫)কে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ওয়ালি উল্লাহ অলির হেফাজত হতে ২৩টি নিষিদ্ধ ঘোষিত জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। আটককৃত অলি গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এবং জেএমবির শীর্ষ নেতা মৃত সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের ভাতিজা।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) নিয়াজা মেহেদী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আটককৃত ওয়ালি উল্লাহ্ অলি জেএমবি’র বগুড়া জেলার একজন দায়িত্বশীল বলে জানায়। এছাড়াও পুরাতন জেএমবি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। সে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবিকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে দাওয়াতি কার্যক্রম ও ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রচার করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ২০০৯সালের সন্ত্রাস বিরোধ আইন (সংশোধন/১৩)এর ৬(১)(ঈ)/৮/১০নাশকতা মামলা রয়েছে। যার মামলা নং-১০, তারিখ-০৯.০৩.১০১৭ ধারা। নিষিদ্ধ সংগঠন সমর্থন, অপরাধ সংগঠনের ষড়যন্ত্র, অপরাধ সংগঠনের প্রচেষ্টা, অপরাধ সংগঠনের সাহায্য ও সহায়তা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্ররোচিত করায় আটককৃত পুরাতন জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য ওয়ালি উল্লাহ্ অলির বিরুদ্ধে গাবতলী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী হয়েছেন থানার এসআই রেজাউল করিম এবং তদন্তভার পেয়েছেন থানার এসআই সুজল চন্দ্র দেবনাথ। এদিকে ওয়ালি উল্লাহ্ অলির স্ত্রী ফাহিমা দাবী করেছেন, ওয়ালি উল্লাহ্ কোনভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি শাখারিয়া ইউনিয়নের পল্লীমঙ্গল বারুইপাড়া ইউনাইটেট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরিচালনা করে আসছিলেন। অথচ গভীর রাতে বাড়ী থেকে আটকের পর আত্মগোপনে ও পলাতক দেখিয়ে আটক করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো একটি মামলা দেয়া হলো। তাকে শত্রুতা করে ফাঁসানো হয়েছে।