বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩
26 Nov 2024 08:24 am
আসাদ সবুজ, বরগুনাঃ বরগুনার তালতলী উপজেলা একটি কৃষি প্রধান জনপদ। শস্য ভান্ডার খ্যাত এ উপজেলায় ধানের পাশাপাশি প্রচুর সবজিরও চাষ হয়ে থাকে।
জানা গেছে,৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। এখানে ১৮ হাজার ৫৪০ কৃষক পরিবার ও আবাদি জমি রয়েছে ১৬ হাজার ৪৪১ হেক্টর। এসব ভূমি ব্যবস্থাপনা, বীজ, সার কীটনাশক ফসলের রোগবালাই, পোকা-মাকড় নিধনসহ উন্নত ফলনশীল জাতের উৎপাদনে কৃষকদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ উপজেলার শিম, কাঁচা মরিচ, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাধাঁকপি, বেগুন, ক্ষীরা ও শসাসহ নানা রকম কৃষি পণ্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় রফতানি করা হয়। তবে এখানকার কৃষিতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করার সম্ভাবনা থাকলেও উপজেলা কৃষি অফিসের জনবল সংকটের কারণে তা অনেকটাই সম্ভব হচ্ছে না বলে স্থানী কৃষকরা জানান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার তৃণমূল পর্যায়ে কৃষিখাতকে শক্তিশালী করতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসলেও শুধুমাত্র জনবল সংকটের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে কৃষি বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রমও। এছাড়া কৃষক কার্ড থেকে শুরু করে সার, বীজ ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ কৃষকের মধ্যে বিতরণেও প্রতিনিয়ত বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ পরিচালনার জন্য ৩৬ টি পদ থাকলেও এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৬ জন। বাকি ২০টি পদই শূন্য রয়েছে।
শূন্য পদগুলো হলো- অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ১ জন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ১ জন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ১২ জন, উচ্চমান সহকারী তথ্য হিসাব রক্ষক ১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ১ জন, স্প্রেয়ার মেকানিক ১ জন, মোকাদ্দম ১ জন, নিরাপত্তা প্রহরী ১ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১ জন। গুরুত্বপূর্ণ এসব পদগুলো শূন্য থাকায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটির সুফল ভোগ করতে পারছেন না উপজেলার কৃষক পরিবারগুলো। ফলে ফসল উৎপাদনে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া গ্রামের কৃষক জয়নাল জানান, আমাদের ইউনিয়নে ধান যেমন বেশি হয়, তেমনি নানা রকম শাকসবজিও বেশি উৎপাদিত হয়। কিন্তু কৃষি অফিসের লোকজনকে আমরা সময়মত পাই না। সমস্যায় পড়লে তাদেরকে খুঁজে বের করে পরামর্শ নিতে হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ সুমন হাওলাদার বলেন, অনেকগুলো পদ শূন্য থাকায় মাঠ কার্যক্রম ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।