সোমবার, ০৯ জানুয়ারী, ২০২৩
22 Nov 2024 01:45 am
রোববার ক্রামাতোরস্ক শহরের পৃথক দুটি ভবনে সেনাদের ব্যারাকে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই দাবির ব্যাপারে তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হতে পারেনি ইউক্রেন।
শহরটির মেয়র বলেন, রাশিয়া ক্রামাতোরস্ক শহরকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। শহরের বিভিন্ন ভবনে হামলা চালানো হলেও এতে কেউ নিহত হননি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন তিনি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চলতি বছরের শুরুতে দোনেৎস্ক অঞ্চলের মাকিভকা শহরের রাশিয়ান ব্যারাকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধে ক্রামাতোরস্কের একাধিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের ওই হামলায় কমপক্ষে ৮৯ জন রুশ সেনার প্রাণহানি ঘটেছিল।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনীয় সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার জন্য নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যে দুটি ভবনে হামলা চালানো হয়েছে, তার একটিতে ইউক্রেনের ৭০০ এবং অন্যটিতে ছয় শতাধিক সেনা ছিল। ইউক্রেনের সেনা ইউনিটগুলোর অস্থায়ী স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে দেশটির ৬ শতাধিক সেনা ধ্বংস হয়েছে।
রাশিয়ার এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মস্কোর আক্রমণ শুরুর পর একদিনে ইউক্রেনের সেনাদের সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা হবে এটি।
প্রায় ১১ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এই সময়ে ইউক্রেন কোনো যুদ্ধবিরতি দেখেনি, এমনকি বড়দিনের উৎসবের সময়ও না। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ আকস্মিকভাবেই গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ জন্য তিনি ৬ ও ৭ জানুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানো থেকে রুশ সৈন্যদের বিরত থাকার নির্দেশ দেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনে বসবাসরত অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যেন নির্বিঘ্নে বড়দিন পালন করতে পারেন; সেটি নিশ্চিত করতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তবে ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি ভ্লাদিমির পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে কৌশলগত চক্রান্ত বলেও আখ্যায়িত করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পুতিনের স্বঘোষিত যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সম্মুখ সমরে গোলাবর্ষণ চলেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।