বৃহস্পতিবার, ০৫ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 12:41 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা আপনাদের ওয়েস্টমিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন এমপি বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতো এবং রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করতো।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোজ্যতেল আসতো। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সেগুলোর আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এ জিনিসগুলোর দাম বাড়ছে।
যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবো।
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বিশেষ করে তারা মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলেও মনে করেন এমপিরা।
ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে তারা বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন বলে জানান ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আন্তরিক এবং নিজস্ব সম্পদ দিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ এবং ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।
শেখ হাসিনা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। এ সময় তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
ডেইলি-বাংলাদেশ