মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 06:33 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধায় চলতি অর্থবছরে আমন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য বিভাগ। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কিনতে চুক্তি করেনি চালকল মালিকরা। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খাদ্যগুদামে চাল দিতে নারাজ বলে চালকল মালিক সূত্রে জানা গেছে।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে সরকারিভাবে প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা দরে কেনার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী গাইবান্ধায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১ হাজার ৯৮৬ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য বিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি খাদ্য কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চালকল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার শেষ দিন ছিল ২৬ নভেম্বর। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৭৫৯টি চালকল মালিকের দু-একজন ছাড়া কেউই চুক্তি করেননি। পরবর্তীতে এ চুক্তির মেয়াদ ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সময় বর্ধিত করলেও ৪২ টাকা দরে চাল দিতে এখনও নারাজ চালকল মালিকরা।
মেসার্স রোহান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আকরাম হোসেন বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে চালের দাম বেশি। এ কারণে চালকল মালিকরা লোকসান করে সরকারি খাদ্য গুদামে চাল দিতে আগ্রহী নয়।
গাইবান্ধা জেলা চালকল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান বাদল বলেন, বাজারে ধান ভেদে প্রতিমণ ধানের মূল্য ১১শ-১২শ টাকা। তাই বাজার থেকে চড়া দামে ধান কিনে তা ভেঙে চাল করে গুদামে কম সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এছাড়া এ বছর সরবরাহকৃত চালের মোট বিলের ওপর সরকার ২ ভাগ উৎস্যকর ধার্য করেছে, যা দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বর্তমান বাজার দর নিয়ে জেলা চালকল মালিক সমিতির নেতার আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি নাজির হোসেন প্রধান বলেন, ধান কিনে চাল তৈরির পর মিটার পাশের জন্য চাল শুকানো ও গুদাম পর্যন্ত পরিবহনে খরচ বেশি হচ্ছে। এতে চালের দাম পড়ছে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা। কিন্তু সরকার ৪২ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে আমাদের লোকসান হবে।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, এ পর্যন্ত ৩০ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। এরমধ্যে যেসকল মিলাররা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।