শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫
07 Jun 2025 09:41 am
![]() |
শাহ আলী বাচ্চু স্টাফ রিপোর্টার জামালপুর:- আর মাত্র দুই দিন বাকী পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ।ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্ৰাম গন্জে কামাররা।ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের কর্মব্যস্ততা।এই ঈদে গরু, ছাগল, দুম্বা ও উটকে কুরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়।ঈদের নামাজ শেষ করার পর থেকে ৩দিন পর্যন্ত কুরবানির পশু জবাই চলে।এসব পশু জবাই করা সহ গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি লোহার তৈয়ারি হাতিয়ার অপরিহার্য।
যেহেতু কুরবানির পশু কাটাকাটিতে দরকার তীক্ষ্ণ ধারালো ছুরি দাঁ, বটি, চাপাতি ও চাক্কু।তাই কয়লার লালটকটকে আগুনের গরম লোহার পিটিয়ে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার কামার পাড়াগুলোতে। গত ঈদের এক বছর পর জং ধরা লোহার ছুরি,দাঁ, বঁটি ও চাক্কু এক বছর পর নতুন করে ধার বা ঠিকঠাক করার জন্য এবার পশু জবাইকৃত যন্ত্রপাতি
ঠিক করতে কামারের দোকানগুলোতে ভীড় জমে উঠেছে। অনেকে এক সপ্তাহ আগে কাজ করার জন্য দা, বঁটি দা , ছুরিসহ মাংস কাটার প্রয়োজনীয় জিনিস ঈদে আগে কাজ করার জন্য রেখে গেছেন।কামারের জমাকৃত কাজ করার জন্য রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে। জমাকৃত কাজ গুলো করতে কামাররা
ব্যাপক ভাবে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।আর সামনে আগুনের শিখায় তাপ দেয়া হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বটি, চাপাতি ও ছুরি।পশু কুরবানিতে এসব অতীব প্রয়োজনীয়।তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের।নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের।
কয়েকজন কামারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা।
পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে।আগে যে সব দোকানে দু,জন করে শ্রমিক কাজ করতো, এখন সে সব দোকানে ৫-৬ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।
কামার দোকানদারদের অভিযোগ কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকদের দাম বেড়ে গেছে। অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে দাঁ, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কামারদের বেচা কেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। কয়লার দাম ও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে কাজের চাপ বেশি। কাজের চাপে কখন খাওয়ার সময় চলে যাচ্ছে আমরা টেরও পাই না। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বিক্রি তত বাড়ছে ।