শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫
07 Jun 2025 10:29 am
![]() |
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে স্বেচ্ছাশ্রমে পিরোজপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাবহারের অনুপযোগী পরিত্যক্ত পুকুরটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া সংস্কার কাজে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এর সচেতন নাগরিক সমাজসহ জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পজেটিভ পিরোজপুর’, ‘বিডি ক্লিন’ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর শহরের জেলা জজ এর বাসার সামনের এই পুকুরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল এবং আশপাশের এলাকায় মশার বংশবিস্তার ও পরিবেশ দূষণের উৎসে পরিণত হয়েছিল। স্বেচ্ছাশ্রমে পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করে সেটিকে পরিবেশবান্ধব স্থানে রূপান্তর করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত পুকুরটি পুনরুদ্ধারে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ সময় সশরীরে উপস্থিত থেকে সংস্কার কাজে অংশ নেন, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়, বরং মানুষের জন্য কাজ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন নাগরিক হিসেবে এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। পিরোজপুরের মতো সুন্দর শহরের সৌন্দর্য ও বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে এ ধরণের স্বেচ্ছাশ্রম আরও বিস্তৃত হওয়া দরকার। উন্নয়ন ও পরিবেশ নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা-চেতনায় থাকা প্রবাসী জেলা শহরের স্থানীয় বাসিন্দা তারিক রানা চৌধুরী বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পর এখন এই পুকুরটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এতে করে স্থানীয়রা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি শহরের পরিবেশ দূষণ ও মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সরকারী বালক উচ্চ বদ্যিালয় একটি স্বনামধন্য ও সুপ্রাচীন বিদ্যাপিঠ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনরে অবহেলার কারণে স্কুলের দুটি পুকুর বছরের পর বছর কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে পরত্যিক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা নোংরা ডোবায় পরিণত হয়ে জনসাধারণের ব্যবহারের অনপুযোগী হয়ে পড়ে। পিরোজপুরের জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পুকুরটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
তারা বলেন, আগে পুকুরটিতে সুন্দর একটি ঘাট ছিল। তা র্দীঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। তখন আশে পাশে কোন প্রকার ময়লা ছিল না, পানি স্বচ্ছ ও পরিস্কার ছিল। আমরা পুকুরে গোসল করতাম। আমাদরে সন্তানদের পুকুরে সাতার শেখাতাম। এখন কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আজ ঘাট ও পুকুরের বেহাল অবস্থা।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস ছালাম বাতেন, মিজা জহিরুল হক ও বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এক সময় পিরোজপুর শহরে সাপ্লাই পানি ছিল না। এ পুকুর থেকে শহরের বাজারের দোকানদার ও ক্রেতা-বিক্রেতরা নামাজের সময় অজু করতো। বর্তমানে পুকুরে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী। পুকুরের বর্তমান অবস্থার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা-অবহেলাই দায়ী। তবে এখন পুকুরটি সংস্কারের ফলে কিছুটা হলেও এটি ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে।