বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
06 Feb 2025 11:50 pm
![]() |
জাহাঙ্গীর আলম মানিক সাপাহার ( নওগাঁ ) প্রতিনিধ:- সাপাহার উপজেলার সদরসহ, গ্রামগঞ্জের ছোট-বড় হাট-বাজারগুলোতে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং বাজারের দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে পঁচা-বাসি, ভেজাল খাবার। খাবারের মধ্যে রয়েছে, রান্না করা- মাছ, মাংস, তরকারি, ডাল, বিভিন্ন ধরনের চপ, পেঁয়াজু। মিষ্টির মধ্যে- রসগোল্লা, জিলাপী, চমচম, দই ইত্যাদি।
তরিতরকারীর বিষয়ে লুকোচুরি, মিথ্যার আশ্রয়ের বিষয়টি বার বার জনগণের মধ্যে আলোচিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিনিয়ত অভিযোগ উঠে একশ্রেণির অসাধু হোটেল মালিক ও বাজারের দোকানের মালিক ব্যবহৃত বহুদিনের পুরাতন ভাজা তেল, মসলার মধ্যে মাছ, মাংস রান্না করে থাকে। ভেড়ার মাংস, বকরির মাংস, খাসির মাংস বলে বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে। আবার বিভিন্ন চপ, পেঁয়াজু, শিঙ্গাড়া, দোকান মালিকগুলো নিজে অথবা কর্মচারীর দ্বারা অনেক দিনের পুরাতন পাম, সোয়াবিন তেলে নতুনভাবে চপ, পেঁয়াজু, ছোলাভাজা, চানাচুর, শিঙ্গাড়া ভেজে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনেকে অভিযোগ করে বলাবলি করছে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ভাজার দোকানের তেলে এভাবে বিভিন্ন খাবার ভেজে বিক্রি করছে বলে একাধিক সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোনালী বা ব্রয়লার মাংস, বিক্রি করছে দেশি মুরগির মাংস বলে। গ্লাসকাপ, সিলবার কাপ বা কম মূল্যের মাছ রুই, কাতলা বলে বিক্রি করার অভিযোগ বার বার উঠছে। রুই মাছের বাচ্চা বাটা মাছ বলে বিক্রি করা হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে রান্নার আগে এবং রান্নার পরে তদারকির ব্যবস্থা অপরিহার্য বলে মনে করেন সচেতন মহল। বাসি খাবার মানব দেহের জন্য বিশেষ ক্ষতির কারণ অথচ মিষ্টি বা রান্না করা ভাত, মাছ, মাংস পঁচা-বাসি কি না, তারও তদারকির অভাব। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে ভুক্তভোগী মহলে অভিযোগ উঠেছে।
সাপাহার সদরের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ভাজার দোকানগুলোকে পঁচা-বাসি খাবার মুক্তকরণের জন্য অবিলম্বে তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। বিভিন্ন ধরনের খাবারের পাশাপাশি ভাজা খাবার বিশেষ করে চপ, পেঁয়াজু, ছোলা, নিমকি, পুরি মুখরোচক খাবার, এ সকল ভাজা খাবার প্রস্তুতের উপকরণ ও তেলের গুণাগুণ নিয়ে। কোনো কোনো অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের তেল এবং নিম্নমানের বেসনের মাধ্যমে কখনও কখনও পুরাতন তেল দিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের ভাজা খাবার তৈরি করা হয়। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিশেষ করে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের মানহীন খাবার সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইসক্রিম শিশু-কিশোরদের স্কুলের পাশে বিক্রি করতে দেখা যায়।