ইয়ামিন হোসেন:-ভোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইলিশা ঘাট, দেশের পূর্ব পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বন্দরনগরী ইলিশা। 

এ ঘাট দিয়ে যেমন জেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে, তেমনি নৌ-পথে মাদক ব্যবসায়ীরা ও জেলার যুব সমাজের মরণব্যাধি ইয়াবা ও গাঁজা আমদানি করেন। 

গত ৫ই আগষ্টে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর কিছুদিন প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বলে খবর ছড়িয়েছে বাতাসে। 

অভিভাবকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়, কখন জানি আদরের সন্তান মরণব্যাধি মাদকে আসক্ত হয়ে যায়। 

অবশেষে ভোলায় যোগদান করেন পুলিশ সুপার হিসেবে শরীফুল হক ও সদর থানায় অফিসার্স ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন হাসনাইন পারভেজ। যোগদানের পরই জেলার গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদ, ছাত্র প্রতিনিধিসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন। শুরু করেন ভোলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ। জিরো টলারেন্স অপরাধীদের বিরুদ্ধে।

সেই নির্দেশনা পেয়ে ভোলা সদরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন পূর্ব ইলিশা, পশ্চিম ইলিশা, রাজাপুর ও কাচিয়া ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকা ইলিশা ফাঁড়ি দায়িত্বশীল কমকর্তারা কঠোর ভাবে অপরাধ দমনে কাজ শুরু করেন। 

পুলিশের তরুণ উপ-পরিদর্শক তাজীব ইসলামের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইফুল , সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান, মোঃ লিমন ও আনোয়ারসহ পুরো টিম কাজ করতে থাকে। 

ভোলায় প্রবেশপথ ইলিশা লঞ্চ ও ফেরিঘাট দিয়ে মাদক চালান বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন ইনচার্জ তাজীবের টিম। 

অবশেষে ২০২৫ এর শুরুতে জানুয়ারি মাসে এক নারী মাদক কারবারি সহ তিন মাদক কারবারি কে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ আটক করেন। 

এক মাসে ভোলার এক ঘাট দিয়ে ৩৫ কেজি গাঁজা প্রবেশ হলে হাজার হাজার যুবক মাদকে আসক্ত হতো। গাঁজা উদ্ধারে মরণব্যাধি নেশা থেকে রক্ষা পেল ভোলার যুবকরা। 

এক মাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার এ ছাড়া নারী মাদক কারবারি কে আটক করে সচেতন মহলের কাছে প্রশংসায় ভাসছে তাজীবের টিম। 

এ ছাড়া ইভটিজিং,চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা দমনেও সর্বোচ্চ ভুমিকা রাখছে ইলিশা ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা বলে জানা গেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ইলিশা ফাঁড়িতে এখন ইনচার্জ থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত বেশির ভাগই তরুণ। যার জন্যই মানুষ সহজেই আইনি সেবা পাচ্ছে। অভিযোগ পেলেই অপরাধ দমনে ছুটে যাচ্ছে পুলিশ। 

এ ছাড়া নানা বিষয়ে ফাঁড়িতে আশা ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখেন তাজীব ইসলাম বলে জানা গেছে। 

ভোলার পুলিশ সুপার,  সদর সার্কেল ও সদর থানার ওসির নির্দেশক্রমে ইনচার্জ তাজীব ইসলামের টিম চলমান প্রশংসনীয় কাজ অব্যাহত রাখলে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আরো বাড়বে সাধারণের মানুষের এমন প্রত্যাশা।