মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
30 Jan 2025 12:29 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার বাসার পাশেই ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়েছে। পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ীর চৌধুরি বাসা নামক স্থানে ময়লা-আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে।
দুর্গন্ধে পথচারীরা ও পাশ্বের বাসার লোকজনেরা রয়েছেন চরম দুর্ভোগে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ময়লার ভাগার এলাকা পার হতেই পথচারীরা নাকমুখ চেপে পার হউন কিন্ত বাসার মানুষরা কতক্ষন নাকমুখ চেপে থাকবে।ময়লার ভাগাড়ের পাশ দিয়ে যেতেই দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা দুস্কর হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই গন্ধের এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারি, বাসাবাড়ীর মানুষজনসহ স্থানীয়রা।
অনেকদিন ধরে ময়লা ফেলার ফলে সড়কের পাশেই এখন বিরাট ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এই সড়ক বেশি চওড়া না হওয়ায় বেশ কিছু জায়গা ময়লার ভাগাড়ের দখলে যাওয়ায় সড়কের ঐ স্থানটি সরু হওয়ায় বিপদের আশংকা থেকে যায় সবসময়। সাধারণ মানুষকে নাকে-মুখে হাত চেপে, নিঃশ্বাস বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে। দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসতবাড়িতে।
ময়লা ভাগাড় নিকট বর্তী স্থানীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই বাসিন্দারা বলেন, দুর্গন্ধের কারণে এখানে থাকাই দায়। নাক মুখ চেপে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধ হওয়ায় অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করছি,বাড়ির বাচ্চারা দুর্গন্ধের কারণে ঠিক মতো খাবার খেতে পারছেনা এবং তারা মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এছাড়াও গরু ছাগলও ঠিক মতো খেতে পারছে না অতিরিক্ত গন্ধ ও মাছির জন্য।এমনকি এই ময়লার ভাগারের দুর্গন্ধের জন্য আত্মীয় সজনরাও আমাদের বাড়ীতে আসতে অসুস্থী বোধ করছে। আমরা একাধিক বার পৌরসভায় ময়লার ভাগারটি অন্যত্র সরানোর আবেদন করলেও সরানোর আশ্বাস দিয়েও এখনো তা করেননি পৌর কতৃপক্ষ। পৌরসভার কাছে আমাদের দাবি, ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে আমাদের স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেয়া হোক।
এস এম বি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বলেন ময়লার স্থান পার হলেও দুর্গন্ধ যেতে সময় লাগে। অনেক সময় বাচ্চারা বমি করে ফেলে।
স্থানীয় এক অবসার প্রাপ্ত ডাঃ বলেন এই ময়রার স্তুপটা আমার বাসা থেকে ১০০ গজ দুরে এই খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলার ফলে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাব পড়ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এর ফলে ওই এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। এসবের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পলাশবাড়ী পৌরসভা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আল-ইয়াসা রহমান তাপাদার কে এ বিষয়ে বললে তিনি বলেন,আশা করছি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।